তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত নবদ্বীপ, বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট

ভোট পর্ব মিটে গেলেও রাজনৈতিক হিংসা এখনোও অব্যাহত রয়েছে নদিয়ার নবদ্বীপে।‌ তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত নবদ্বীপ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় নবদ্বীপ ব্লকের জেড পি ২৪ এর অন্তর্গত মহিশুরা পঞ্চায়েতের কালিনগর গ্রামের ঘটনা। এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলের ছুটে আসে নবদ্বীপ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনায় আহত দুই পক্ষের কয়েকজনকে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপি কর্মী ঊষা মন্ডলের অভিযোগ, আমরা বিজেপি করার অপরাধে এদিন হঠাৎই দুপুরে আমার বাড়ির সামনে তৃণমূলের বেশ কিছু দুষ্কৃতী আমার উপর হামলা চালায়। আমার চিৎকার শুনে আমাকে বাঁচাতে আমার পরিবারের স্বামী, ছেলে, মেয়ে, বৌমা বাঁচাতে এলে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। এবং ঘরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। তাঁরা এখন নবদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, আমাদের তিন জন কর্মী রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসার সময় হঠাৎই বিজেপি কর্মী শ্যামল মন্ডলের নেতৃত্বে তাঁর বউ, ছেলে, মেয়ে সবাই মিলে আমাদের তিন তৃণমূল কর্মীর ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। দুই পক্ষের হাতাহাতিতে ঘটনাস্থলে গুরুতরভাবে আহত হয় রাজেশ চৌধুরী নামে এক তৃণমূল কর্মী। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রাজেশ। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এখন সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তবে এই ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ছুটে আসেন নবদ্বীপ দক্ষিণ মন্ডলের বিজেপি সভাপতি শশধর নন্দী। আহত বিজেপি কর্মীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। জানা যায়, এদিন রাতেই তৃণমূল- বিজেপি সংঘর্ষে উভয়েই নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন যথেষ্ঠ স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।