শান্তিপুর কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পরিষেবা দেওয়ার সমস্ত পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে, মার্কশিট দেওয়ার দিন হোক কিংবা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এনসিসি উঠে যাওয়া উত্তর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে, ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভ
মলয় দে নদীয়া :-
পন্ডিত লক্ষীকান্ত মৈত্রের হাতে প্রতিষ্ঠিত বহু প্রাচীন শান্তিপুর কলেজ থেকে উঠে যেতে পারে ১৯ ৫৮ সাল থেকে চলে আসা এন সি সি। আর তারই প্রতিবাদে এনসিসি সকল ছাত্রছাত্রীরা আজ বিক্ষোভ করে, ছাত্র ছাত্রীর অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে টিআইসি সুচিস্মিতা সান্যাল কে কলেজে পাচ্ছেন না তারা মোবাইলও রয়েছে সুইচড অফ। শান্তিপুর কলেজে এনসিসি র ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্বে থাকা ড: সঞ্জয় ধারা কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সেখান থেকেও সদুত্তর পাইনি ছাত্রছাত্রীরা অন্যদিকে মেয়েরাও আশঙ্কা আজ ছেলেদের টা উঠে যাচ্ছে আগামীতে হয়তো মেয়েদের ইউনিটও উঠে যেতে পারে। অথচ দেশ সমাজ রক্ষার লক্ষ্যে এবং শরীর সুস্থ রাখার প্রয়োজনে এনসিসির প্রচার এবং প্রসার ঘটলেও এক্ষেত্রে কোন অজ্ঞাত কারনে তা বন্ধ করা হচ্ছে সেটাই জানতে চাই তাকে। তাদের মতে প্রতিবছর অত্যন্ত আগ্রহের সাথে ভর্তির সংখ্যা পূরণ হয় এবং এখান থেকে ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীরা রাজ্যস্তরে কিংবা জাতীয় স্তরে দিল্লিতে একাধিকবার কৃতিত্বের সাথে অংশগ্রহণ করেছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়টি তে সহমত জানিয়ে এনসিসির দায়িত্বে থাকা সঞ্জয়বাবু বলেন যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ টিআইসির সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে তবে এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত নির্দেশ আসেনি কিন্তু সম্ভাবনা রয়েছে। তার জানা অনুযায়ী পরিকাঠামগতভাবে হয়তো কোন বিষয়ে সামান্য ঘাটতি কিংবা ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে আর সেই কারণেই এরকম একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে এসবই আশঙ্কা প্রকৃতপক্ষে তথ্যভিত্তিক বলতে পারবেন টিআইসি ড: সুচিস্মিতা সান্যাল । সঞ্জয়বাবু যদিও বা বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত কিন্তু মেয়েদের এনসিসি র দায়িত্বে থাকা সুজাতা সরকারের অবশ্য এসব বিষয়ে মাথাব্যথা নেই, তিনি সরাসরি আপত্তি জানান তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে। তবে ছাত্রছাত্রীরা প্রশ্ন তুলেছেন বিষয়টি যদি না থাকে তাহলে আর শিক্ষক-শিক্ষিকার কি প্রয়োজন! তবে এ বিষয়ে আমরাও টিআইসি র সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। এমন কি গতকাল সিক্স সেমিস্টারের মার্কশিট দেওয়ার দিন বদলের নোটিশ বিতর্কেও যোগাযোগ করতে পারিনি তার সাথে ছাত্রছাত্রীরা এখনো পর্যন্ত জানে না তাদেরকে কবে মার্কশিট দেওয়া হবে। এমন কি স্কলারশিপ এর ফরম ফিলাপ করতে পর্যন্ত এসে ছাত্রীরা ঘুরে যাচ্ছে সরাসরি তারা অভিযোগ করছে কলেজের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করে নিয়মিত মাইনে নিয়ে যাচ্ছেন অথচ সামগ্রিকভাবে কলেজের উন্নয়নের কথা কেউ ভাবছে না তবে এ বিষয়ে যেহেতু কলেজ কর্তৃপক্ষের সান্নিধ্য তারা পাচ্ছেন না তাই বাধ্য হয়েই যাবতীয় বিষয় নিয়ে কলেজের গভর্নিং বডির কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবে বলেই জানিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী শান্তিপুর কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট আমরা তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এই মুহূর্তে কোন বিষয়েই তিনি অবহিত নন কলেজ কর্তৃপক্ষ কিংবা ছাত্রছাত্রী কেউ কোন বিষয়েই কিছু জানায়নি তবে আগামীতে লিখিতভাবে জানালে নিশ্চয়ই জিবিতে তা নিয়ে করা যাবে। সিদ্ধান্তের কথা সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সংবাদ মাধ্যমে জানানো যাবে।