শহরাঞ্চলের হাসপাতাল গুলি থেকে রোগীর ভিড় কমাতে গ্রামীন বিভিন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর জোর দিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্র স্বাস্থ্য বিভাগ । তাই সেখানে একদিকে যেমন গর্ভবতী মা প্রসূতি মা ও বাচ্চাদের, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের নিয়মিত চিকিৎসা বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান টিকা প্রদান ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান এম্বুলেন্স পরিষেবা এসবের মধ্যে দিয়েই ক্রমশ উন্নত সাধন করছে, যা প্রায় হাসপাতালের সমতুল্য।
বাৎসরিক কয়েকটি নির্দিষ্ট ছুটি বাদে প্রত্যাহ চিকিৎসা ব্যবস্থা এমনকি জরুরী কালীন প্রাথমিক চিকিৎসাও করা হচ্ছে সেখানে। তবে ক্রমশ উন্নতি সাধনের জন্য মাঝেমধ্যেই খতিয়ে দেখা হয় বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
নদীয়ার চাকদহ ব্লক এ চাদরিয়া সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আজ কেন্দ্র ও রাজ্য স্বাস্থ্য প্রতিনিধিরা অনুসন্ধানে এলেন সেখানে। রোগী এবং তাদের পরিবার বর্গের সাথে আলোচনা করে চিকিৎসা ব্যবস্থা যাবতীয় খতিয়ে দেখে তারা ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স অনুযায়ী নাম্বার ভিত্তিক শংসাপত্র প্রদান করা হয় যার ফলে আগামীতে সেই সেন্টারের আরো উন্নতি সাধনের পরিপূরক হয়ে ওঠে। একদিকে যেমন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খোঁজ খবরের জন্য এসেছেন ঠিক তেমনি সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা কথা জানতে রোগীর পরিবারদের নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ। যেখানে উপস্থিত ছিলেন চাদুরিয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সঞ্চালক সংগ্রাম গুহ ঠাকুরতা প্রধান মৌমিতা খাটুয়া রায় , ব্লক সেকেন্ড অফিসার ডক্টর জিসান সরকার । তারাও জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়মিত পরিশ্রম পর্যবেক্ষক হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদের দেখা উচিত আর তার ফলেই একদিকে যেমন ছোটখাটো ভুলভ্রান্তি গুলো শুধরে যায় ঠিক তেমনি অনেক নতুন বিষয় জানা যায় রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন সুফল জানানো সম্ভব হয় সাধারণ মানুষকে।