লাগাতার বৃষ্টিতে খোদ শহরের বুকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো বসবাসের ঘর! আশঙ্কায় আরো বেশ কিছু প্রান্তিক পরিবার

লাগাতার বৃষ্টিতে খোদ শহরের বুকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো বসবাসের ঘর! আশঙ্কায় আরো বেশ কিছু প্রান্তিক পরিবার

মলয় দে নদীয়া :-
লাগাতার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে গৃহহীন হয়ে পড়ার উপক্রম শান্তিপুর শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাধাকৃষ্ণ পল্লীর বেশ কিছু বাসিন্দাদের। আজ সকালে মল্লিকা সরকার নামে এক বাসিন্দার তিন বাস দর্মার বেড়ার বসত ঘর রান্না ঘর হঠাৎই ভেঙে পড়ে হুড়মুড়িয়ে। তিনি নিঃসন্তান এবং স্বামীহারা । আত্মীয়-স্বজন সেই অর্থে কেউই নেই বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছেন নিজস্ব উপযুক্ত কাগজপত্র সহ জায়গায় অথচ সরকারি ঘর পাননি। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন অল্পের জন্য প্রাণে বেসেছেন তিনি এটা যদি রাতে হতো তাহলে নির্ঘাত জীবন চলে যেত। তবে সেখানে সকলেরই প্রায় এই দুরবস্থা আনুমানিক প্রায় 15 টি পরিবার দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বৃষ্টির কারণে কারণ সরকারি ঘর কারোরই নেই অন্যদিকে দালান ঘরের মতো করার মতন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও তাদের নেই। আজ হয়তো একটি ঘর ভেঙেছে কিন্তু বাকি ঘরগুলিও আগামীতে ভেঙে যাবে নিশ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে বলেও কোন লাভ হয়নি স্থানীয় কাউন্সিলর কে।
অভিমানে তারা জানাননি স্থানীয় কাউন্সিলর কে তাই আজকের ঘর ভেঙে যাওয়া মল্লিকা সরকারের মাথা গোজার ঠাই হিসেবে নিজেরাই চেষ্টা করছেন সকলে সহযোগিতা তুলে আপাতত একটা ব্যবস্থা করার। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য।
তবে আপাতত এলাকাবাসী বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামীর কাছ থেকে একটি ত্রিপল পেয়েছেন যা দিয়ে সকলে মিলে মল্লিকা দেবীর বাসস্থান তৈরি করার কাজে হাত লাগিয়েছেন।
তবে শুধু মল্লিকা দেবী নয়, ওই এলাকার মৌসুমী বীর মিঠু সরকার দুখিরাম দেবনাথ রূপকুমারী পাহাড়ি ৬৫ বছর বয়সী চপলা দে রাও জানাচ্ছেন তাদের দুর্দশার কথা। কেউ বলছেন মাথার উপরে হাত না থাকলে কিংবা নেতার ঘনিষ্ঠ না হলে ঘর পাওয়া যায় না। কেউ বলছেন ন্যূনতম সরকারি অর্থ জমা দেওয়ার যে প্রটোকল রয়েছে তা তারা ব্যবস্থা করতে পারেননি। আর সেই কারণে কখনো সরকারি পানীয় জল কখনো গৃহ আবাস যোজনার ঘর থেকে বঞ্চিত রয়েছেন তারা।
তবে এ বিষয়ে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন স্থানীয় কাউন্সিলর বর্তমান কাউন্সিলরের স্বামী শাজাহান শেখ জানান, বিভিন্ন ব্যবসায়ী শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রচেষ্টায় হয়তো এই গৃহ আবাস যোজনা পাওয়ার প্রথম ডিপোজিট মানি ধার করিয়ে দিতেই পারেন। তবে তার এলাকায় অনেকেই প্রান্তিক পরিবার ন্যূনতম সরকারি পঁচিশ হাজার টাকা দেওয়ার মতন ব্যবস্থাও নেই তাই তাদের দুঃখ দেখেও কোন সুরাহার ব্যবস্থা পাইনি তবে সরকার যদি আগামীতে তাদের জন্য কোন চিন্তা ভাবনা করে তাহলে হয়তো তারা পেতে পারে তবে তাদের প্রত্যেকের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিলো। আজকের ঘর ভেঙ্গে পরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন তিনি এখনি শুনেছেন বিষয়টি বিকালে অবশ্যই পরিবারের সাথে দেখা করে সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতার চেষ্টা করবেন।