রক্ষাকালী মায়ের চুরি যাওয়া গহনা উদ্ধারের ভরসা এখন রক্ষাকবজ সিসিক্যামেরাবন্দী
মলয় দে নদীয়া :- চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী! আর তাইতো ধর্মপ্রাণ নদীয়ার মন্দির নগরী শান্তিপুরে একের পর এক মন্দিরে কখনো কখনো বিগ্রহ কখনো বা মূল্যবান অলংকার কিনবা প্রণামী বাক্স অথবা পুজোর সামগ্রী চুরি যাওয়ার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক।
তবে নিজেদের তাগিদে পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশে অনেকে মন্দিরেই বসেছে সিসি ক্যামেরা তাতেও রক্ষা নেই!
গতকাল শান্তিপুর শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের অত্যন্ত জনবহুল গুপ্তিপাড়া ঘাটে যাওয়ার রাস্তার পাশে নিমতলা রক্ষা কালী মন্দিরে গ্রিলের দরজা তালা ভেঙে রক্ষাকালী মায়ের গায়ের সোনার কপালের টিপ নাকের নথ দাঁত, রুপোর বেলপাতা বিছে এমনকি বাবা ভোলানাথের নানান রুপোর অলংকার পর্যন্ত খোয়া গেছে। এলাকাবাসী অনুমান করছেন আনুমানিক প্রায় 2 লক্ষ টাকা মূল্যের এই ছোটখাটো গহনা থাকে প্রতিদিন । তবে বাৎসরিক অনুষ্ঠানের সময় ভারি ভারি অলংকার খুলে রাখা হয়। যেহেতু অত্যন্ত জাগ্রত রক্ষাকালী মা তাই একেবারে মাটির মূর্তি না রেখে ন্যূনতম সোনা এবং রুপোর অলংকার গুলি থেকে থাকে তবে একেবারে জনবহুল রাস্তার পাশে এবং অত্যন্ত জাগ্রত মায়ের গহনা কেউ চুরি করতে পারে এমন ভাবনা কখনো কারোর মাথায় আসেনি আর তাইতো এই দুষ্কর্ম। তবে গোটা বিষয়টি সিসি ক্যামেরার হার্ড ডি্সকে বন্দী। এখন রক্ষাকালী মায়ের রক্ষা কবজ সিসি ক্যামেরায় ভরসা। আজ সকালে মন্দিরে ভক্তরা প্রমাণ করতে এসে দেখেন পাশের দরজার তালা নেই, এর পরেই সেখানকার নিত্য পুরোহিত এবং কাউন্সিলর কে খবর দেন এলাকার মানুষজন প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় খবর দেওয়া হয় শান্তিপুর থানায় পুলিশ প্রশাসন এসে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে সকলের সাথে কথা বলে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে যান এবং তার থেকেই চুরির রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছেন তারা। তবে প্রণামী বাক্স এবং গ্রিলের ওই ভাঙ্গা তারা কিছুই মন্দির সংলগ্ন আশেপাশে খুঁজে পাওয়া যায়নি প্রণামী বাক্সে আনুমানিক প্রায় দশ হাজার টাকা ছিল বলেই মনে করছেন কাউন্সিলর বিকাশ চন্দ্র সাহা।
প্রসঙ্গত ১৯৫২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠা হওয়া এলাকার অত্যন্ত জাগ্রত রক্ষাকালী মায়ের মন্দির নতুনভাবে সুসজ্জিত হয়েছিল ২০১২ সালে। প্রতিবছর জগদ্ধাত্রী পূজার সময় বাৎসরিক পুজো সহ প্রতি অমাবস্যা পূর্ণিমা শনি মঙ্গলবার বিশেষ পুজোর সহ পুজো হয়ে থাকে স্থানীয় এবং গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাটের জল পরিবহনের যাত্রী মিলিয়ে সহস্রাধিক ভক্তবৃন্দের সমাগম হয়ে থাকে পুজোয়। কাউন্সিলর জানাচ্ছেন তিন বছর আগে একবার মায়ের গহনা চুরি হওয়ার পর লাগানো হয়েছিল সিসি ক্যামেরা। তবে তাতেও দুঃসাহসিক চুরি। তবে তিনি আশাবাদী দুষ্কৃতী কে ধরা সম্ভব সিসি ক্যামেরা থেকেই।