মায়ের পুজো দিয়ে তবে দুর্গা মূর্তির পূজা, বেলগড়িয়ার পাল বাড়িতে দুর্গাপুজোর ঠাকুর গেল শান্তিপুরের মৃৎশিল্পি সাহাবাড়ি থেকে
মলয় দে নদীয়া:-
জন্মদাত্রী মায়ের পুজো করে তবেই দেবী মূর্তির পুজো শুরু হয় উত্তর 24 পরগনার বেলগড়িয়া র পাল বাড়িতে। পদবি পাল হলেও পরিবারে ঠাকুর গড়ার কাজ হয়নি কোনদিন তবে রক্তে রয়েছে শিল্পবোধ রয়েছে রাতে আর সেই কারণে পরিবার প্রধান চন্দন পাল অঙ্কন শিল্পী এবং ফ্যাশন ডিজাইনার পেশা বেছে নিয়েছেন। বাড়ির ১৬ বছরের দুর্গা পুজো এবং পর্যায়ক্রমে লক্ষী সরস্বতী এবং গণেশ পূজিত হন মূর্তি দিয়ে প্রথমে কলকাতার কুমারটুলি থেকে প্রতিমা আনা হলেও গত দু’বছর ধরে শান্তিপুরে ।সামাজিক মাধ্যমে শান্তিপুরের গোপালপুর সৌরভ সাহার কাজ দেখে যোগাযোগ, করে বর্তমানে সাহার হাতে গড়া প্রতিমায় পালেদের পুজো। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে আর পাঁচটা বাড়িতে যেমন ভাবে পুজো হয় তেমনই পালবাড়ীতেও, তবে এ বাড়ির বিশেষত্ব জন্মদাত্রি মায়ের পূজো দিয়ে তবেই মূর্তি প্রতিমার পুজো শুরু হয়। চন্দন পাল এবং তার বোন চন্দ্রাসাহা প্রথমে মাকে পুজো করেন ব্রাহ্মণ ছাড়াই নিজেদের মতন করে।
চন্দর বাবুর ভাগ্নে মৌলেন্দু জানায় পরিবারের এই সিদ্ধান্তে এ প্রজন্মের ছেলে হিসেবে সেও গর্বিত আগামীতে পুজোর এই রীতি ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চায় সেও।
অন্যদিকে মৃৎশিল্পী সৌরভ সাহা জানা জানাচ্ছেন, যেহেতু চন্দন বাবু একজন শিল্পী তাই চালচিত্রের ছবি তিনি নিজেই আঁকেন তাই তার সাথে নানান রকম আলোচনা করে বেশভূষা সাজ পোশাক এমন কি চালিয়ে কিংবা পাঠাতন সবকিছুই নির্মিত হয়েছে। তবে সাবেকই মূর্তি ওনারা পছন্দ করেন আর সেই কারণেই আমার কাছে আসা। গত বছরের তুলনায় সাবেকি প্রতিমার অর্ডার বেশি পাওয়া গেছে এবছরে মোট ১৮ টা দূর্গা প্রতিমা প্রস্তুত হয়েছিল যার মধ্যে বারোটা চলে গেছে আর ছটি বাকি দুই-একদিনের মধ্যে এগুলোও চলে যাবে। তবে দশমীর পরের দিন প্রথম দুর্গাপুজোর বায়না দিয়ে থাকেন চন্দন বাবু, গত বছর ঠাকুর বিসর্জন দিয়ে পরেরদিন অর্ডার দিয়েছিলেন এ বছরের ঠাকুর। আবহাওয়ার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে প্লাস্টিক মুড়েই মাকে বিদায় জানাতে হবে, তবে রাস্তার পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় অনেকটাই ভালো হয়েছে তাই সমস্যার কিছু নেই।