বোলান গানে নেচে গেয়ে বিনোদনের ছলে হেপাটাইটিস বি র সচেতনতার প্রচার

বোলান গানে নেচে গেয়ে বিনোদনের ছলে হেপাটাইটিস বি র সচেতনতার প্রচার

মলয় দে নদীয়া :-
বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে, বিনোদনের ছলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের তৎপরতায় মাঝেমধ্যেই সচেতনতার প্রচারে লক্ষ্য করা যায়। যার মধ্যে অন্যতম প্রচার হিসাবে লক্ষ্য করা যায় গান-বাজনা নাচ সহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পী সমন্বয়ে কখনো থ্যালাসেমিয়া হেপাটাইটিস নিউমোনিয়া করোনা জলাতঙ্ক এইচআইভি এ ধরনের নানান দুরারোগ্য ব্যাধির নিরাময়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র কিংবা নিকটবর্তী হাসপাতালে যোগাযোগ করার জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি বার্তা দেওয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
আজ নদীয়ার শান্তিপুর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া হরিজন সেঠে এইরকমই এক সচেতনতা অনুষ্ঠান করেন পূর্ব বর্ধমান মন্তেশ্বর থেকে আগত বুলান শিল্পীরা। ছয় সদস্যের এই দলে একজন পুরুষ মহিলা সেজে অপরজনেরা কেউ গান কেউ ঢোলোক কেউ অর্গান বাজিয়ে সঞ্চালনা করেন এই অনুষ্ঠান। তাদেরকে সাধুবাদ জানাতে ছুটে আসেন শান্তিপুর শান্তিপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে সি আই সি মেম্বার শুভজিৎ দে এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পম্পা বিশ্বাস রাজবংশী। তারাও জানাচ্ছেন বিগত দিনে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় পুষ্প মেলা সহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে শিল্পীদের দিয়ে সচেতনতার প্রচার করানো হয়। এবং এটা খুব ফলপ্রসু হয়। যদিও শান্তিপুর পৌরসভার বিভিন্ন স্বাস্থ্য এবং উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে র স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত এ ধরনের জটিল রোগের খোঁজখবর রাখেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে। তবে এ ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শিশুদের প্রধান আকর্ষণ হওয়ার কারণে লিফলেট এবং তাদের মুখ থেকে অভিভাবকেরা সচেতন হন।
আগত শিল্পীরা জানাচ্ছেন তারা নদীয়ার কল্যাণী তে থেকে গত দুদিন এ ধরনের অনুষ্ঠান করেছেন নানান জায়গায় আজ শান্তিপুরের হরিপুর এবং শহরের থানার মোড় সংলগ্ন এখানে করার পর তারা চলে যাবেন রানাঘাটে, এরপর সেখানে দুদিন অনুষ্ঠান করে যাবেন কৃষ্ণনগর। আর এভাবেই ১৭ দিন ধরে টানা প্রচার করে ফিরবেন কলকাতা স্বাস্থ্য ভবনে। তবে সচেতনতা অনুষ্ঠানের শেষে যেখানে সন্ধ্যা হয় সেখানেই হোটেল কিংবা লজ ভাড়া করে থাকেন আবার রওনা দেন পরের দিন এভাবেই তাদের সচেতনতার প্রচারের গাড়ি সমগ্র নদীয়া পেরিয়ে কখনো বর্ধমান কখনো বীরভূম বাঁকুড়া এভাবেই চলে সারা বছর।