‘দিদিকে বলো’ তে ফোন করার পর দুইবার ইনকোয়ারি হয়েছে। তার পরেও আবাস প্লাসের খসড়া তালিকায় নাম উঠেনি হতদরিদ্র চা বিক্রেতার নাম। হতাশ হয়ে পড়েছেন

হরিশ্চন্দ্রপুর : ‘দিদিকে বলো’ তে ফোন করার পর দুইবার ইনকোয়ারি হয়েছে। তার পরেও আবাস প্লাসের খসড়া তালিকায় নাম উঠেনি হতদরিদ্র চা বিক্রেতার নাম। হতাশ হয়ে পড়েছেন
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পেমা গ্রামের বাসিন্দা শাহাজাহান আলি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহাজাহান টিনের ছাউনি ও বাঁশের বেড়া দেওয়া জরাজীর্ণ কাচা ঘরে
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বসবাস করছেন।
স্বামী স্ত্রী চায়ের দোকান করে কোনরকমে সংসার চালান। একমাত্র জরাজীর্ণ কাচা ঘরটি ভগ্নপ্রায় অবস্থা। দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। দেওয়াল থেকে মাটি ঝরে পড়ছে। বেড়ার ফাঁক ফোকর দিয়ে কনকনে বাতাস ঘরে ঢুকছে। কোনরকমে শাড়ি দিয়ে বাতাস আটকে রাখার চেষ্টা করছেন দম্পতি। অপরদিকে টিনের ছাউনিতে মরচে ধরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
প্রশাসনিক আধিকারিকরা ইনকোয়ারি করেও তার নামটি আবাস তালিকায় তুলেননি বলে অভিযোগ। শাহাজান বলেন, আমার একমাত্র বাস্তুভিটা ছাড়া এক ছটাক জমি নেই। স্ত্রী,দুই নাবালক সন্তান ও এক মেয়েকে নিয়ে এই জরাজীর্ণ কাচা ঘরে বসবাস করছি। চায়ের দোকান করে কোনরকমে দিন গুজরান করি। দিদিকে বলো তে ফোন করে ছিলাম। ব্লক থেকে প্রশাসনের লোকেরা এসে দুইবার ইনকোয়ারি করে গেছে। ঘরের ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছে। তালিকায় আমার নাম নেই। আবাস যোজনার একটি ঘর পেলে কোনরকমে মাথা গজানোর ঠাই টুকু হতো। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন,
যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাদের তালিকায় নাম এসেছে। যে পাওয়ার যোগ্য তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখেছি আবাস তালিকায় তাঁর নামই নেই। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মন্ডল বলেন, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক থেকে প্রায় দেড় হাজার রাজ্য সরকারের
গ্রীভেন্স সেলে অভিযোগ জমা পড়েছে।
১৩০ টি নামের তালিকা এসেছে।
শাহজাহানের নামটিও পাঠানো হয়েছে। নামটি আসলে তাকে আবাস তালিকাভুক্ত করা হবে।