এখন আকাশে মেঘের কোন ঘনঘটা নেই এখন বলতে গেলে প্রায় নীল আকাশ এখন চারিদিক থেকে শুধুই উত্তরের হওয়া। চারিদিকে শুধুই ঠান্ডা বাতাস বইছে। জানান দিচ্ছে শীত চলে এসেছে। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি, এই পুজোটার জন্য। এর আগে আমরা দুর্গাপুজো, লক্ষ্মী পুজো, পার করে এসেছি। এরপরে ছিল শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা গত ২০ শে অক্টোবর ছিল শ্যামা পূজা। নদীয়ার রানাঘাট আড়ংঘাটা বারাসাতের পাশাপাশি নদীয়ার কৃষ্ণনগর শ্যামা পূজার জন্য বিখ্যাত । গত ২০ শে অক্টোবর ছিল, শ্যামা পূজা এর আগে আপনাদেরকে আমরা কৃষ্ণনগরের শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা পরিক্রমা দেখিয়েছিলাম। এই পুজোর পাশাপাশি ঈদের কৃষ্ণনগর যেমন কালী পূজার জন্য বিখ্যাত তেমনি এই পূজার প্রধান আকর্ষণ হল প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা। গতকাল সন্ধ্যায় ছিল এই প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা। সেই ছবি আমরা ঘুরতে ঘুরতে দেখতে গিয়েছিলাম নদীয়ার কৃষ্ণনগরে হাজার হাজার দর্শনার্থী দেখা গিয়েছিল আজকের এই প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায়। শ্রীকৃষ্ণনগরে প্রধান আকর্ষণ হল সাঙ তিনশ বেহারা সহযোগে বড় বড় প্রতিমাকে সাঙে করে নিয়ে যাওয়া হয়। জলঙ্গীর নদীর উদ্দেশ্যে। প্রত্যেকটি প্রতিমা ক্লাব বা বারোয়ারী থেকে বেরিয়ে প্রথমে রাজবাড়ী হয়ে চৌরাস্তার মোড় হয়ে। আমিনবাজারের মোড় হয়ে এভি স্কুলের মোড় হয়ে। পৌরসভার মোড় হয়ে পোস্ট অফিসের মোড় হয়ে, চ্যালেঞ্জের মোড় হয়ে, ষষ্ঠী তলার মোড় হয়ে, অবশেষে জলঙ্গি নদীতে এসে এই প্রতিমা নিরঞ্জনের এর শোভাযাত্রা শেষ হয়। জলঙ্গি নদীতে প্রতিমাকে নিয়ে গিয়ে। সমস্ত অলংকার খুলে নিয়ে গিয়ে। অবশেষে কৃষ্ণনগরের জলঙ্গী নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন শেষ হয়। বেহারারা ফিরে আসে শূন্য কাঠামো নিয়ে। আবার একটি বছরই অপেক্ষা তাই আমরা সবাই মাকে বলি করজোড়ে আসছে বছর আবার এসো মা সবাইকে তুমি ভালো রেখো সুস্থ রেখ মা। এইভাবে শেষ হয় একটি পূজা। আমাদের ক্যামেরায় ঠিক কি ছবি উঠে এলো তা তুলে ধরছি আপনাদের সামনে। নদীয়ার কৃষ্ণনগর থেকে সুমন আচার্যের রিপোর্ট।


