আজ শুক্রবার হওয়ার কারণে সন্তোষী মাতার পুজোর মধ্য দিয়ে সূচনা হলো সপ্তাহভোর জগদ্ধাত্রী উৎসবের, মঙ্গলবার কালীপুজো, বৃহস্পতিবার জগদ্ধাত্রী ভাসান শনিতে
মলয় দে নদীয়া:- প্রচার এবং প্রসারে কৃষ্ণনগর কিংবা জগদ্ধাত্রী হলেও বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা নদীয়ার শান্তিপুর থেকেই। শান্তিপুরের হরিপুরে ব্রহ্মশাসনের জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা লগ্নের অনেক ইতিহাস আছে। সমগ্র অঞ্চল সহ শান্তিপুরের বেশ কিছু সাবেকি পরিবারসহ বারোয়ারি আজও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে। তবে বারোয়ারি প্রতিমার রূপ জগদ্ধাত্রী থেকে গণেশ কালী দুর্গা সন্তোষী মা অন্নপূর্ণা সত্যনারায়ণ শিব নানাবিধ হলেও সাবেকি বাড়িগুলিতে এবং প্রাচীন বারোয়ারি গুলিতে আজও জগদ্ধাত্রী পুজো হয়।
শান্তিপুরের বিভিন্ন উৎসবের মধ্যে জগদ্ধাত্রীও একটি গুরুত্বপূর্ণ।
এবার বৃহস্পতিবার থেকে জগদ্ধাত্রী পুজো হলেও নানান দেব দেবীর পুজোপাট বিশেষ দিন উপলক্ষে পুজো পড়েছে নানান দিনে। শনি মঙ্গলবারে কালীপুজো, আজ শুক্রবার সন্তোষী মাতা পুজো। তাই চৌরঙ্গী মোড়, অসমাপ্ত মণ্ডপ শয্যার মধ্যেই চুনরি পাড়া সন্তোষী মা পূজার মধ্যে দিয়ে আজকেই জগদ্ধাত্রীর সূচনা হয়। মুন্সিপাড়া অমর সংঘ ক্লাব অবশ্য আগামী শুক্রবার পুজো করবেন বলেই জানা গেছে।
জয় সন্তোষী মাতা ক্লাবের জগদ্ধাত্রী এবার ৫৪ বছরে। শুভ সূচনা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতন এ বছরেও আনুমানিক ২০০০ লোকের মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা করা হয় প্রত্যেকের জন্য। উদ্যোক্তারা জানান তারা প্রশাসনিক নিয়ম নীতি মেনেই এবারও শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবে তাদের চমকপ্রদক শোভাযাত্রা নিয়ে। তবে মধ্যাহ্ন ভোজের এই ব্যবস্থা বহুদিনের। সূত্রাগড় অঞ্চলের এই এলাকায় আজ ধনী দরিদ্র সকলেই একসাথে বসে আহার করে থাকেন। বৃহৎ এই পরিবারে যুক্ত হতে এসে পুজো মণ্ডপ উৎসবের চেহারা নেয়। গতকাল সন্ধ্যা থেকে নজন রাধুনী এবং সহযোগী তরকারির আনাজ কাটা শুরু করে আজ সকালে এলাকার আরো বেশকিছু পুজো উদ্যোক্তা পরিবেশন এবং অন্যান্য কাজে হাত লাগায়। দুপুর বারোটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত একভাবে এই প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা চালু থাকে। তবে ন’দিন ধরে পুজো দেওয়ার সুযোগ পেয়ে খুশি এলাকাবাসী।
পুরোহিত জানাচ্ছেন ছোলা এবং গুড় মায়ের প্রিয় প্রসাদ। কোন রকম টক জাতীয় ফল আনাজ মিষ্টান্ন ব্যবহার হয় না এখানে।
আগামী বৃহস্পতিবার আনুমানিক প্রায় পনেরো টি প্রাচীন বারোয়ারি এবং বেশ কিছু সাবেকি বাড়িতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জগদ্ধাত্রী পুজো। মঙ্গল বার বিভিন্ন কালীপুজো এবং এরই মাঝে অন্যান্য দেব-দেবীদের পুজো। তবে মূলত জগদ্ধাত্রী পুজো অনুযায়ী বৃহস্পতি বার পুজো হওয়ার পরের দিন শুক্রবার বিরতি দিয়ে শনিবার বিসর্জন অর্থাৎ ভাসানের শোভাযাত্রা। যদিও সেই দিন শনিবার পড়ার কারণে অনেকে রবিবারও বিসর্জন পর্ব সারবেন। অর্থাৎ এ বছর নয় দিন ধরে চলবে উৎসব।


