শীত গ্রীষ্ম হোক কিংবা বর্ষা সাইকেল কিংবা ভ্যান সারানোর মিস্ত্রি হিসাবে দৃষ্টিহীন কৃষ্ণধনই ভরসা! তাই আজকের দিনেও খোলা রেখেছেন দোকান!

* শীত গ্রীষ্ম হোক কিংবা বর্ষা সাইকেল কিংবা ভ্যান সারানোর মিস্ত্রি হিসাবে দৃষ্টিহীন কৃষ্ণধনই ভরসা! তাই আজকের দিনেও খোলা রেখেছেন দোকান!
*
মলয় দে নদীয়া:-
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন আমাদের সংবাদ মাধ্যম পৌঁছেছিল জীবন্ত বিশ্বকর্মার খোঁজে! উঠে এলেন নদীয়ার শান্তিপুরের বাথানগাছি গ্রামের ১০০% দৃষ্টিহীন ৬৫ বছর বয়সি কৃষ্ণ ধন সরকার। আগে তিনি সাইকেল মিস্ত্রি ই ছিলেন ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে ছিল দোকান তবে ১০-১২ বছর আগে দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে যাওয়ার পর বাড়িতেই খুলেছেন দোকান।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন বারো মাস প্রতিদিন তিনি নিয়ম করে নিজেই খোলেন আশেপাশে আরও দোকান থাকলেও উনার উপর ভরসা সকলেরই।

হাতের স্পর্শ ,ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের বিশেষ ক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতার জোরে আজও সাইকেল, টলি ভ্যান কিংবা রিক্সা অবলীলায় মেরামত করে চলেছেন তিনি।

শুধু চাকার লিক নয়, বড়সড় যন্ত্রাংশও অনায়াসে সারিয়ে ফেলেন আন্দাজে। এমন কি দোকানের ছোটখাটো যন্ত্রাংশ কোথায় কি রেখেছেন তা নিজেই খুঁজে পেয়ে যান অনায়াসে। স্ত্রী জানাচ্ছেন পারিশ্রমিকের অর্থ নেওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি সাবলীল তবে কাগজের নোটের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে একটু সমস্যায় পড়তে হয়।

স্থানীয় মানুষজন ও পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য, “এমন কাজ ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছাড়া সম্ভব নয়।” যদিও তিনি এবং তার স্ত্রী মানবিক ভাতা পান , এক্ষেত্রে শ্রী ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতা যুক্ত দৃষ্টিহীন তবে তাতে সংসার চালানো মুশকিল। একমাত্র ছেলে টোটো চালান এবং বাবার সাথে সহযোগিতা করেন । পরিবারের আশা, সরকার যদি এগিয়ে আসে, তাহলে আর্থিক সঙ্কট কিছুটা হলেও দূর হবে।

বিশ্বকর্মা পুজোর এই দিনে তাই দৃষ্টিহীন হয়েও অবিচল কারিগর কৃষ্ণ ধন সরকারকে কুর্নিশ আমাদের সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে।