পুরসভার কাছ থেকে টাকা দিয়ে কেনা কানেকশনে নেই জলের গতি !তাই গ্রাউন্ডের আশা ছেড়ে মোটা টাকা খরচ করে আন্ডারগ্রাউন্ডে রিজার্ভার বসানোর প্রবণতা শান্তিপুরের বেশ কিছু এলাকার মানুষজনের

পুরসভার কাছ থেকে টাকা দিয়ে কেনা কানেকশনে নেই জলের গতি !তাই গ্রাউন্ডের আশা ছেড়ে মোটা টাকা খরচ করে আন্ডারগ্রাউন্ডে রিজার্ভার বসানোর প্রবণতা শান্তিপুরের বেশ কিছু এলাকার মানুষজনের

মলয় দে নদীয়া:- পানীয় জল পেতে পুরসভায় ৮ হাজার টাকা ডিপোজিট মানি জমা করেও চার বছরে ফিরল না জলের গতি! সরকারি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পৌঁছালো না বাড়ির গ্রাউন্ডে তাই বাধ্য হয়েই প্রায় 30000 টাকা গ্যাটের কড়ি খরচ করে গর্ত খুঁড়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে রিজার্ভার বসানোর প্রয়াস সমগ্র এলাকা জুড়ে। মানুষের প্রশ্ন যে রাস্তায় গলিতে শুকনো অবস্থায় হেটে যাওয়ার কথা সেখানে থাকে জল আর যে কলে জল পাওয়ার কথা সেখানে শুষ্ক। পরিকাঠামো গত ভাবে উন্নয়ন না হওয়া সত্ত্বেও সস্তায় বাজিমাত করতে গিয়ে বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে জল পৌঁছানোর নতুন কানেকশন দেওয়ার ফলে এই অবস্থা বলে মনে করছেন এলাকাবাসীরা।
জল যন্ত্রণার সমস্যা নদীয়ার শান্তিপুর শহরের এক এবং দুই নম্বর ওয়ার্ড সহ বেশ কিছু শহর এবং গ্রামাঞ্চলে। তবে ক্ষোভ বিক্ষোভ মান অভিমান অনুনয় বিনয় আবেদন সবকিছু ছেড়ে দিয়ে এবার জলের গতি আনতে বাড়ির সামনে গর্ত খুঁড়ে একটি অথবা দুটি ট্যাংক বসাচ্ছেন তারা। যার মূল্য এক একটি প্রায় ছয় হাজার টাকার কাছাকাছি। তার উপর মজুরি খরচ । এরপর থাকলো বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের সাহায্যে তা উঁচুতে উঠিয়ে সেখানে একটি রিজার্ভার ট্যাংক বসানো। এরপর সেই জল ব্যবহার অর্থাৎ সমগ্র প্রক্রিয়াতে প্রায় ২৩ হাজার টাকা খরচ। অন্যদিকে পুরসভার কাছে আগেই দেওয়া আছে ৮০০০ অর্থাৎ ৩১ হাজার টাকা খরচ করে তবেই গৃহস্থলীর কাজকর্ম কিংবা নিত্য প্রয়োজনীয় জল এমন কি পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে গৃহকর্তাদের। অনেকেই জানাচ্ছেন পরিবারের সদস্য অনুযায়ী প্রতি মাসে প্রায় দু ৫ হাজার টাকার জল কিনতে হচ্ছিল তার থেকে পরিত্রাণ পেতেই এককালীন এই খরচ।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের হরঘর জল কিংবা রাজ্য সরকারের বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে জল বিজ্ঞাপনের চটক থাকলেও আদতেও গৃহিণীরা বলছেন অন্য কথা। অনেকেই জানাচ্ছেন বাড়িতে চাপা কল বসালেও শান্তি নেই সেখানে আয়রনের জন্য নোংরা জল ওঠে।
স্থানীয় এক নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন তৃণমূলের বর্তমানে বিজেপি রাজনৈতিক পালা বদল হলেও বদলাইনি মানুষের সমস্যা। এ বিষয়ে অবশ্য এক নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান বিজেপি কাউন্সিলর মানুষের সমস্যার কথা মান্যতা দিয়েই জানাচ্ছেন, এ বিষয়ে তিনি প্রতিটা বিওসি মিটিংয়ে নিকাশি ব্যবস্থা রাস্তা এবং জল নিয়ে সওয়াল করেন, পুরসভাও তৎপর কিন্তু তবুও পরিষেবা কেনো মানুষকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। তবে পুরসভা কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানাচ্ছেন বিগত দিনে শান্তিপুরের সুবিশাল পাঁচটি সুউচ্চ জলাধার ছিল যা এক একটি জোনে জল সাপ্লাই দেওয়া হতো তবে নতুন করে কানেকশন বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিকাঠামোগতভাবে আরো পাঁচটি এ ধরনের ট্যাংক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এবারেও বিভিন্ন এলাকায় লাগানো হচ্ছে বুস্টিং পাম্প তবে পূর্বের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকা বেশ খানিকটা উঁচু হওয়ায় এ ধরনের সমস্যা রয়ে গেছে তবে স্থায়ী সমাধান পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন।