নবদ্বীপ বিএলআরও অফিসে ল ক্লার্কদের প্রবেশ নিষেধ, কর্মবিরতিতে প্রায় একশো ল ক্লার্ক
দীর্ঘদিন ধরে নবদ্বীপ বিএলআরও (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) অফিসে কাজ করে আসা ল ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের হঠাৎই দপ্তরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় ক্ষোভ ও কাজের অনিশ্চয়তায় পড়েছেন প্রায় একশোর কাছাকাছি পরিবার। গত সপ্তাহখানেক ধরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর থেকেই দপ্তর চত্বরে শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন ল ক্লার্করা।
তাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর নবদ্বীপ ভূমি দপ্তরের বিভিন্ন কাজ—নথি সংরক্ষণ থেকে শুরু করে নিত্যদিনের পরিষেবা—তারা নিষ্ঠার সঙ্গে করে এসেছেন। এর আগে এখানকার জনসাধারণের স্বার্থে সমস্ত আধিকারিকরাই তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা প্রদান করেছেন। কিন্তু হঠাৎই কোনোরকম কারণ দর্শানো ছাড়াই তাদের অফিসে প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আধিকারিকদের কাছে জানতে চাইলে কোনও সদুত্তর মেলেনি বলেও অভিযোগ তোলেন তারা।
ল ক্লার্কদের দাবি, “নবদ্বীপ শান্তিপ্রিয় শহর, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মভূমি। আমরা কোনো অশান্তি চাই না। তাই শান্তিপূর্ণভাবেই কর্মবিরতিতে বসেছি।” তাদের বক্তব্য, কাজ বন্ধ থাকায় ভূমি-সংক্রান্ত জরুরি পরিষেবা পেতে সাধারণ মানুষেরই অসুবিধা বাড়ছে। তাই দ্রুত সমাধান করে ল ক্লার্কদের ফের কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তারা।
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শফির মন্ডল জানান, “আমাদের পুরো পরিবার এর ওপর নির্ভরশীল। বহু বছর ধরে আমরা এই অফিসে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে এসেছি। এখন প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় জীবিকা বিপন্ন হয়ে পড়েছে।” তিনি নদীয়া জেলার জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে নবদ্বীপ সমষ্টি ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, কবে সমাধান মিলবে—সেদিকেই তাকিয়ে নবদ্বীপের ল ক্লার্কদের প্রায় একশো পরিবার।



