সুমিত ঘোষ,মালদা: তৃণমূল নেত্রীর স্বামীর দাদাগিরি ! দলের প্রভাব খাটিয়ে সেনা জওয়ানের জমি দখলের অভিযোগ।এমনকি নিজের জায়গায় গেলে সেনা কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সহ সভানেত্রী হাসি খাতুনের স্বামী মোঃ আনারুল হক।মালদার ইংলিশ বাজার থানার বাগবাড়ি লক্ষ্মীপুর এলাকার ঘটনা।আক্রান্ত সেনা জওয়ান দারস্থ জেলা পুলিশ সুপারের।সেই সঙ্গে অবৈধ ভাবে তার জমি দখলের অভিযোগে নালিশ জানানো হয়েছে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে।
আক্রান্ত সেনা জওয়ান মোহাম্মদ রাজ্জাক হোসেন জানান,উত্তরাখন্ডে তার পোস্টিং। ২০০৯ সালে বাগবাড়ি লক্ষ্মীপুর এলাকায় তিনি পৌনে তিন কাঠা জমি কিনেন।দলের প্রভাব খাটিয়ে বর্তমানে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ সভানেত্রীর স্বামী ওই জায়গা দখল করে নিয়েছে।জমির দখল নিতে গেলে সম্প্রতি তাকে পুলিশের সামনেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ সেনা জওয়ানের।ঘটনায় তিনি আবারও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইংলিশ বাজার থানায়।পাশাপাশি জমি ফিরে পাবার জন্য তিনি পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছেন।
আক্রান্ত সেনা জওয়ান আরো জানান মালদার মানিকচক ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙ্গন কবলিত বালুটোলা এলাকায় তার বাড়ি।এক ছেলে এবং দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস।যে কোন মুহূর্তে গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে তার বাড়ি,সেই কারণেই শহর লাগোয়া লক্ষ্মীপুর এলাকায় বাড়ি তৈরি করবেন বলে তিনি এই জায়গা কিনেছিলেন।
যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই তৃণমূল সহ সভানেত্রীর স্বামী মোঃ আনারুল হক তিনি বলেন,ওই জমি তার। কোর্টের অর্ডার ছাড়া ওই জমিতে তিনি কাউকে প্রবেশ করতে দেবেন না।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন,কে জমির ব্যবসা করছে কে কি করছে সেই সব বিষয়ে দল জানেনা।পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। প্রয়োজনে দল ও বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির। বিজেপির দক্ষিণ মালদার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী জানান তৃণমূলের কালচার এটি।এখানে সাধারণ মানুষ থেকে সেনা কর্মী কারোরই সুরক্ষা নেই।তৃণমূলের অঙ্গুলী হেলান ছাড়া পুলিশ কোন কাজ করে না।
বাইট –
১) আক্রান্ত সেনা জওয়ান মোহাম্মদ রাজ্জাক হোসেন।
২) ফোন রেকর্ড অভিযুক্ত তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি স্বামীর।
৩) আব্দুর রহিম বক্সী জেলা সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেস।
৪) অম্লান ভাদুরি বিজেপির দক্ষিণ মালদার সাধারণ সম্পাদক।