গোবিন্দপুরে ভয়াবহ আগুন, ভস্মিভূত একই ব্যবসায়ীর চার থেকে পাঁচটি দোকান ক্ষতি প্রায় এক কোটি টাকা
শান্তিপুর গোবিন্দপুর রাধামাধব মন্দিরের পাশে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক অগ্নিকাণ্ড। রানাঘাট নিবাসী ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ পাল প্রতিদিনের মতো আজও দোকান থেকে বিস্কুটসহ বিভিন্ন প্যাকেটজাত খাদ্যসামগ্রী নিয়ে পাইকারি বিক্রি করতে বেরোন। শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন কয়েকটি দোকানে মাল পৌঁছে দেওয়ার সময়ই আচমকা খবর পান—আগুন লেগেছে তাঁর গোডাউনে। ছুটে এসে দেখেন, চার-পাঁচটি দোকান আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত, পুরে গেছে প্রায় এক কোটি টাকার খাদ্যসামগ্রী, খাতা-পত্র এমনকি নগদ অর্থও।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিপুর অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্রের একটি ইঞ্জিন ও পুলিশ প্রশাসন। স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুনের ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে পাশেই বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার থাকার কারণে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। এলাকাবাসীর জলের ঘাটতি দেখা দেয়।
পরে দমকল কর্মীরা টানা আধঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুনের মাত্র ৪০ শতাংশ নেভাতে সক্ষম হন।
ক্রমশ আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকায় শান্তিপুর থেকে আরও একটি ইঞ্জিন এবং পরবর্তী পর্যায়ে কৃষ্ণনগর থেকেও একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে। বর্তমানে মোট তিনটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছে। দোকানগুলোর মালিক বিশ্বজিৎ পাল জানান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। চারটি দোকানের মাল তাঁর হলেও যে বিল্ডিংয়ে দোকানগুলি অবস্থিত, তার মালিক নবদ্বীপের বাসিন্দা।
এই ঘটনার ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ালেও দমকলের তৎপরতায় পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ বিশাল হওয়ায় ভেঙে পড়েছেন ব্যবসায়ী।


