শহরে ফিরে আনন্দের জোয়ারে ভাসলেন চাকদহের সোনা জয়ী পুরপ্রধান
নিজস্ব সংবাদদাতা,চাকদহ: জাতীয় প্রতিযোগিতায় সোনা জিতে দিল্লি থেকে শহরে ফিরলেন চাকদহের পুরপ্রধান অমলেন্দু দাস। শনিবার দুপুরে প্রথমে তিনি পুরসভায় যান। তিনি আসছেন বলে খবর পেয়ে পুরসভার সামনে এসে দাঁড়ান সেখানকার কর্মীরা। পুরপ্রধান অমলেন্দু দাসের গলায় মালা এবং ফুলের তোড়া তুলে দেওয়া হয়। এখানে মাল্যদানের পর্ব শেষ হতে তিনি অফিসের ভেতরে যান। সেখান থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠালপুলির বাড়িতে যান। তারপর শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং সংস্থার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
পুরসভার উপপুরপ্রধান দেবব্রত নাগ বলেন, শহরের প্রধান নাগরিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় সোনা জিতে বাড়ি ফিরেছেন। আমরা সকলেই তার এই সাফল্যে গর্বিত এবং আনন্দিত। আগামীকে পুরসভার পক্ষ থেকে বড় অনুষ্ঠান কবে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
পুরপ্রধান অমলেন্দু দাস বলেন, জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য রাজ্য লিফটিং সংস্থা আমাকে সাহায্য করেছে। জাতীয় প্রতিযোগিতায় সুযোগ পাওয়ার পর নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিয়েছি। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময় বারবার মনে হচ্ছিল,আমাকে ভাল ফল করতে হবে। শহরের মানুষকে উপহার দিতে হবে। আজ মনে হচ্ছে, সেটা আমি পেরেছি।
গত ৭-১০ জুন দিল্লির সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুলে জাতীয় পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ইন্ডিয়ান পাওয়ার লিফটিং ফেডারেশন। চার দিনের এই প্রতিযোগিতায় দেশের ১৫টি রাজ্যের বিভিন্ন বয়েসের ৩৫০ জন প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেছিল। পুরপ্রধান বছর সত্তর বয়েসের অমলেন্দু দাস এই প্রতিযোগিতায় পঞ্চাশ উর্ধ বয়েসের বিভাগে অংশ নিয়েছিলেন। রবিবার তিনি ১১০ কেজি ওজন তুলে সবাইকে পিছনে ফেলে সেরার মুকুট ছিনিয়ে নিয়েছেন।
পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, ছোট বেলায় ফুটবল খেলা করতেন অমলেন্দু দাস। চাকদহ রামলাল একাডেমীতে (উচ্চ মাধ্যমিক) একাদশ শ্রেনিতে লেখাপড়া করার সময় দাদা চিত্তরঞ্জন দাসকে দেখে পাওয়ার লিফটিং শুরু করেছিলেন। ইতিমধ্যে জেলা এবং রাজ্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। লেখাপড়া শেষ করে বেসরকারি সংস্থায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন। যার কারণে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সম্ভব হয় নি। কাজের ফাঁকে প্রশিক্ষণ চালিয়ে গিয়েছেন।
পুরপ্রধানের সাফল্যে খুশি এলাকার মানুষ। পুরসভার উপপুরপ্রধান দেবব্রত নাগ বলেন,জাতীয় লিফটিং প্রতিযোগিতায় পুরপ্রধান সোনা জেতায় আমরা গর্বিত। এই বয়েসে তিনি যা করে দেখালেন,সেটা আমাদের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সকলের উচিত তাকে উৎসাহিত হওয়া।