পাইকারি আনাজ বাজারে নিজে হাতেই স্যানিটাইজার স্প্রে করলেন, সংসদ জগন্নাথ সরকার

গোবিন্দপুর বাজার নিজে হাতে করতে এসে স্প্রে মেশিন হাতে নিয়ে সাংসদ জগন্নাথ সরকার বললেন! চাষের মাঠে ওষুধ দেওয়ার পুরনো অভ্যাস ভুলিনি, আজ কাজে লেগে গেলো।
হ্যাঁ ঠিক তাই, বেশ কয়েক দিন ধরেই লক্ষ্য করেন তার বাড়ি ঢোকার রাস্তায়, একটি জলাশয়ের ধারে রাস্তা ভেঙে গেছে, পঞ্চায়েতে বলেও ফল মেলেনি, বিজেপি সাংসদ হওয়ার কারণে। তাতে থোড়াই কেয়ার! গাড়ি থামিয়ে নিজের নেমে গাছের মোটা ডাল কেটে মানুষকে সাথী করে এক ঘণ্টার মধ্যে বাঁধিয়ে ফেললেন রাস্তার পাশ। শিক্ষকতা করার সাথেই, খেলাধুলায় জগন্নাথ সরকার ছিলেন সুপরিচিত। সাইকেল মোটর সাইকেল থেকে শুরু করে তিন চাকা চারচাকা এমনকি চাষের মাঠের ট্রাকটার পর্যন্ত চালাতে পারেন তিনি। অন্যদিকে মতুয়া সম্প্রদায়ের ডঙ্কা ,শৃঙ্গা বা ঢোল কিংবা শ্রীখোল সবেতেই সাবলীল তিনি।
একদিকে পার্লামেন্টের ভাষণ অন্যদিকে, গাঁয়ের ভাষায় বক্তৃতা সবটাই শ্রূতিমধুর বলে থাকেন গুণমুগ্ধরা।
গোবিন্দপুর পাইকারি বাজার প্রতিদিন ভোর চারটা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত বহু সমাগম ঘটে পাইকারি সবজি ক্রেতা-বিক্রেতাদের আগমনে, তার কথায় সরকারি বিধিব্যবস্থা হাস্যকর তাই নিজেই স্যানিটাইজার করতে নেমে পড়েছেন আজ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আরএসএস করার সুবাদে শিখেছি নিজের কাজ নিজে করে নেওয়ার! তবে এ বাংলায় সরকারি দায়-দায়িত্বও নিজেকে পালন করতে হবে তা ভাবি নি কখনো! প্রধানমন্ত্রী মোদি জি বলছেন, তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষা, বিজ্ঞান, চিকিৎসা, বাণিজ্যে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কথা। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী দিদির ভায়েরা আম্ফানের টাকা থেকে শুরু করে, শেষে চিকিৎসা সরঞ্জাম পর্যন্ত চুরি করছে, তাই সে রাজ্যে সরকারি ঘাটতি পূরণ করতে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে! এ আর নতুন কি?