ভূত চতুর্দশীর দিন ১৪ টি প্রদীপ জ্বালানোর অজানা কাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদন,মৌমিতা দেবনাথ:
ভূত চতুর্দশীর দিন ১৪ টি প্রদীপ জ্বালানোর অজানা কাহিনী
আজ অর্থাৎ কালীপুজোর আগের রাতকে ভূত চতুর্দশী রাত হিসাবে পালন করা হয়। কিন্তু জানেন কি কেন জাগানো হয় ভূত চতুর্দশীর দিন ১৪ টি প্রদীপ এবং খাওয়া হয় চোদ্দ শাক। পুরান মতে কার্তিকী অমাবস্যার আগের রাতে স্বর্গ এবং নরকের দ্বার কিছু সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয় তখন বিদেহী আত্মারা মর্তলোকে নেমে আসে তাদের পূর্বপুরুষদের ভিটে পরিদক্ষন করে এবং তাদের আশীর্বাদ করে। তাই ভূত চতুর্দশী দিন ১৪ টি প্রদীপ জাগানো হয় কারণ প্রদীপের আলোয় নাকি এইসব আত্মারা ধারে কাছে আসতে পারে না। তবে শুধু তাই নয়, ভূত চতুর্দশী দিন খাওয়া হয় ১৪ রকমের শাক। এর কারণ হিসেবে বলা হয় এই 14 রকম শাক নাকি ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। প্রাচীন কাল থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। তার সাথে এও বলা হয় যে এই দিন বিভিন্ন রকমের ভূতেরা নাকি ঘুরে বেড়ায় তার মধ্যে আছে নিশি ব্রহ্মদৈত্যপ্রেত্নী শাকচুন্নি। তাই অনেকেই ভূত চতুর্দশীর দিন ১৪ টি প্রদীপ তাদের ঘরের কোনায় কোনায় জ্বালান যাতে এইসব বিদেহী আত্মারা বাড়িতে ঢুকে না পরে। উচ্চতুর্দশী পরের দিন অর্থাৎ অমাবস্যা তিথিতে পূজিত হন শক্তির দেবী মা কালী।