গতকাল অর্থাৎ 22 শে মার্চ ছিলো আন্তর্জাতিক জল দিবস, তা নিয়ে রইল বিশেষ প্রতিবেদন

গতকাল ছিলো 22 শে মার্চ। আন্তর্জাতিক জল দিবস। জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে 1993 সালের 22 শে মার্চ তারিখটি কে আন্তর্জাতিক জল দিবস হিসাবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ ।
জলের অপর নাম জীবন। মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের এক অন্যতম হাতিয়ার । গৃহস্থলীর কাজকর্ম থেকে শুরু করে রান্নাবান্না, উৎসব, অনুষ্ঠানে, বিনোদনে ও নিত্য প্রয়োজনে জলের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু শান্তিপুর শহর অন্তর্গত বেশ কিছু অঞ্চলে পানিয় জল নিয়ন্ত্রণকারী কোনো রেগুলেটর নেই , বা দেখা যাচ্ছে না জল নিয়ন্ত্রণকারী বিশেষ কোনো সুইচ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেলো শান্তিপুর পৌরসভা কর্তৃক জল নিয়ন্ত্রণের সুইচ বা রেগুলেটরের বন্দোবস্ত করলেও স্থানীয় অসাবধানতা বশত সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে বলেই জানাচ্ছেন আমাদের সংবাদ মাধ্যমকে । আবার কিছু এলাকায় সেই অঞ্চলের কিছু দুষ্টু ছেলেদের দৌরাত্ম্যে ওই পানিও জলের রেগুলেটর নষ্ট হয়ে গেছে বলেই আমাদের জানিয়েছেন। শান্তিপুর চর জিজিরা অঞ্চল , রাজাপুর নিকিরি পাড়া , শান্তিপুর কে .সি দাস রোড — এই সমস্ত অঞ্চলে অবাধে পানিও জলের অপচয় হচ্ছে বলেই আমাদের সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়লো।
জল সম্পর্কিত বিষয়ে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ভারত বর্ষে চাষের জন্য জলের প্রয়োজন হয় 61.6 শতাংশ , আর এই সম্পূর্ণ জলটা আসে ভূগর্ভ থেকে। চাষের জন্য 24.6 শতাংশ জল আসে খাল থেকে এবং 13.6 শতাংশ জল আসে অন্যান্য উৎস থেকে। কৃষিকে ভূগর্ভস্থ জল অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যাবহারের ফলে আগামী 15 বছরের মধ্যেই ভূগর্ভস্থ জল ফুটিয়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর কারণ যেখানে চিরকাল গম , ভুট্টা , বাজরা জাতীয় কম পিপাসু ফসলের চাষ হতো সেখানে এখন ধান ও আখের চাষ হচ্ছে।
বর্তমানে আমরা যারা জল অপচয় করছি তারাই আবার বাসে , ট্রেনে এবং রাস্তাঘাটে নিজেদের প্রয়োজনে নিজেদের পকেটের অর্থ ব্যায় করে বিসলেরি, অস, কিনলে ,পবিত্র প্রভৃতি কোম্পানির জল কিনে তৃষ্ণা নিবারণ করছি। সুতরাং এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে জল কতটা প্রয়োজনীয় হতে চলেছে আমাদের জীবনে। বিশেষজ্ঞে দের মতে ভারতে খুব দ্রুত জলের সংকট আসতে চলেছে। তবে এর জন্য পরোক্ষ ভাবে দায়ী করা যায় সবুজ বিপ্লবকে। তাইতো আমাদের প্রত্যেকেই পানীয় জল ব্যাবহারের ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতনতা অবলম্বন করা জরুরী।