চাকদহ ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম সভার চারটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে এই চিত্র লক্ষ করা গিয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষে প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এবং সিপিএম প্রার্থী।
চাকদহ ব্লকের তাতলা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬টি আসনের মধ্যে দুটি আসন এবং দেউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম সভার ৩০টি আসনের মধ্যে ২ টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদের মধ্যে দেউলি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অমিত বিশ্বাসও রয়েছেন।
ইতিমধ্যে ওই সব এলাকায় দেওয়াল দখল করার কাজ শেষ করেছে তৃণমূল। অধিকাংশ দেওয়ালে নাম ছাড়া প্রতিক একে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে ভোট দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। এখন সেই সব দেওয়ালগুলোতে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের প্রার্থীদের নামে প্রচার করতে হবে জানা গিয়েছে। অনেকে আবার নিজের নামে ব্যানারও লিখে ফেলেছেন। সে সব কার্যত বেকার হয়ে গেল বলে মনে করছেন এলাকার কর্মীরা।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থী অমিত বিশ্বাস বলেন,আমার বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিরোধীরা। যার কারণে আমার লড়াইয়ের জায়গা থাকল না। বেশ কিছু ব্যানার লেখা হয়েছে,সেগুলো এখন আর কোন কাজে লাগবে না।
প্রার্থী তুলে নেওয়ার জন্য তৃণমূলকেই দুষছে বিরোধীরা। বিজেপি ৪৬ নম্বর জেলা পরিষদের সভাপতি অশোক বিশ্বাস বলেন, দেউলি গ্রাম পঞ্চায়েত ওই দুই আসনে আমাদের প্রার্থী ছিল। তৃণমূল ভয় দেখিয়ে তাদের মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বাধ্য করেছে। সিপিএমের চাকদহ পূর্ব-১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিভাস গুহ বলেন, ওই চার আসন থেকে আমাদের দলের প্রার্থীও ছিল।তৃণমূল ভয় দেখিয়ে ওদের নাম প্রত্যাহার করাতে বাধ্য করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে চাকদহ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দিলিপ কুমার সরকার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমাদের কেউ মনোনয়নপত্র তুলে দেওয়ার জন্য ভয় দেখায় নি। আমার মনে হয়,প্রার্থী হওয়ার পর ওদের দল পাশে থাকে নি,যার কারণে ওরা লড়াই থেকে সরে গিয়েছে।





