মাগো ও মা। ছোট্ট এক শিশু কাতর কণ্ঠে মাকে ডাকছে। বাবার সাথে সে এসেছে মাকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সন্তানের অমন নিষ্পাপ কান্নায় মায়ের মনতো গলতে বাধ্য। অবশেষে অবৈধ সম্পর্কের মায়া ত্যাগ করে স্বামীর কাছে ফিরলেন গৃহবধূ। জানা গেছে বিগত একমাস আগে নদীয়ার নবদ্বীপের বাসিন্দা লিমা বিশ্বাস সুদীপ মালি নামে এক যুবকের সাথে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। এমনকি তারা নাকি বিয়েও করেছিলেন আর এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ব্রজ বল্লভপুর গ্রামে নতুন করে সংসার পাতেন তারা। সুদীপ মালির সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার পরিচয় এক বছর আগে সেখান থেকেই তাদের সম্পর্ক আরো গভীরতর হয়ে ওঠে আর এরপর তা গড়ায় প্রেমের দিকে। অবশেষে স্বামীর ঘরের মায়া ত্যাগ করে সেই যুবকের সাথে পালিয়ে যান ওই গৃহবধু। বিগত এক মাস যাবত স্বামী প্রকাশ বিশ্বাস তার ছোট্ট শিশু কন্যাকে নিয়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেরিয়েছেন বিভিন্ন দিকে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাননি তাকে।অবশেষে নবদ্বীপের বাসিন্দা প্রকাশ বিশ্বাস সমাজ সেবিকা বাবলি মুখার্জির কাছে একটি আবেদন জানান যে তার স্ত্রীকে যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয় তিনি তার স্ত্রীকে পুনরায় ফিরে পেতে চান। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় অবশেষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ব্রজ বল্লভপুর গ্রামে গিয়ে খোঁজ পাওয়া গেল ওই গৃহবধূর। পাথরপ্রতিমা থানায় ওই গৃহবধূ একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন যে তিনি সুদীপ মালি নামে যুবকের সাথে আর কোন রকমের সম্পর্ক রাখবেন না। তবে স্ত্রী যে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে তা নাকি ছমাস আগে থেকেই জানতেন স্বামী প্রকাশ বিশ্বাস সেই সময় বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয় যদিও তারপর ক্ষমা চেয়েছিলেন স্ত্রী এমনটাই জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু কি এমন হলো যে ১০ বছরের সংসারের মায়া ত্যাগ করে অপর এক যুবকের সাথে পালিয়ে গেলেন ওই গৃহবধূ। এই প্রশ্নের উত্তরে গৃহবধূ জানালেন স্বামীর প্রতি তার কোন অভিযোগ নেই তার স্বামী একটু অলস প্রকৃতির ভবিষ্যৎ নিয়ে সেরকম কোন চিন্তাভাবনাই করেন না তাই নাকি তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন কিন্তু এখন তিনি সংসারে ফিরতে চান শুধুমাত্র তার মেয়ের জন্য।
সন্তানের কাতর আবদারেই অবশেষে বাড়ি ফিরলেন মা।