মলয় দে নদীয়া :-আর কিছুক্ষণ বাদেই আগামী ৫ বছরের জন্য, গঠন হতে চলেছে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি। ২৯ আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েত সমিতি বামেদের হাত থেকে তৃণমূলের হাতে আসে ২০১৩ সালে, যদিও সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েকজন সদস্যের জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করার ফলেই সম্ভব হয়েছিল। যদিও এর আগে ২০০৮ সালে বামেদের পরিচালনায় ছিল এই সমিতি। তার আগের সমিতি গঠন অর্থাৎ ২০০৩ সালে তৃণমূলের একটি মাত্র সদস্য থাকলেও
কংগ্রেসের সাথে তৃণমূলের মিলিত বোর্ড ছিলো।
তবে সর্বশেষ গত ২০১৮ সালে ২৯ টি আসন বিশিষ্ট এই সমিতির মাত্র তিনটিতে জয়লাভ করেছিল বিজেপি বাকি ২৬ টিতেই তৃণমূল। স্বভাবতই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে, তৃণমূল এককভাবে গঠন করে বোর্ড। তবে এবার চিত্রটা অনেকটাই আলাদা, রানাঘাট দক্ষিনে বিজেপির এমএলএ বৃদ্ধির মতন, সমিতিতেও 16 টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি, তৃণমূল তেরোটিতে। অন্যান্য কোন দল বা নির্দলের কোনো জয়ী প্রার্থী নেই এবার। খুব স্বাভাবিকভাবে বিজেপি ভোট করার দিকে। তবে মাঝেমধ্যেই নেতৃত্বকে বলতে শোনা গেছে, দল ভাঙানোর অভিযোগে তারা বিভিন্ন পঞ্চায়েতের মতন সমিতি গঠনের আগেও রয়েছেন বাড়ির বাইরে। যদিও এ তত্ত্ব মানতে নারাজ তৃণমূল, তাদের দাবি, মানুষের রায়কে তারা সম্মান জানিয়েছেন বলেই, বিভিন্ন পঞ্চায়েতে তাদের সদস্যরা সুরক্ষিত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি শান্তিপুরে। এক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হবে না।
তবে সকাল থেকেই প্রশাসনিক এবং পুলিশি তৎপরতায় সাজ সাজ রব বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে। রানাঘাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বাঁশের ব্যারিকেডে ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা বিডিও অফিস, তবে প্রধান তিন রাস্তার মুখে, ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় থাকলেও, পথ চলতি নিত্যযাত্রী সাধারণ মানুষের কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন না।