জমজমাট চাকদহ বিষ্ণুপুর খেদাইতলা মেলা

আজ ১৮ ই আগস্ট শুক্রবার । পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আজ মনসা দেবীর পূজা করা হচ্ছে। তবে নদীয়া জেলা তথা চাকদহের অন্যতম বিখ্যাত পুজো হল চাকদহ বিষ্ণুপুর খেদাই তলার মনসা পূজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বিশাল মেলা বসে বিষ্ণুপুরে। আজ থেকে শুরু হয়ে এই মেলা আগামী সাতদিন পর্যন্ত চলবে। যা পরিচিত খেদাই তলার মেলা নামে।মেলার বিষয়ে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় এই মেলার ঐতিহ্যের কথা কারণ প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো এই মেলা। আগে এক চালা একটি মন্দিরে মা মনসার পূজো করা হতো তবে বর্তমানে মন্দিরটি পাকা করা হয়েছে। দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় জমান কেউ পুজো দিতে কেউবা আবার মেলা উপভোগ করতে। মন্দিরে রয়েছে একটি ইটের কাঠামো তারই মধ্যে প্রাচীন এক নিম গাছের গুঁড়িতে চাল-কলা দিয়ে পুজো দিচ্ছেন হাজারো মানুষ।
তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে এই মেলার প্রধান বিশেষত্ব হলোসাপ আর সাপুড়েতে। তাই এর নাম খেদাইতলার সাপের মেলা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে বেদে-বেদিনীরা আসেন নানা রকমের সাপ নিয়ে খেলা দেখাতে। তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন নির্ধারিত হওয়ায় বর্তমানে সাপের সংখ্যা এই মেলায় কমে আসছে। আরেকটি বিশেষত্ব হল পাঠা বলি। মন্দির প্রাঙ্গনে আজ পাঠা বলি দেওয়া হয় মা মনসার উদ্দেশ্যে। আগে ৭০ থেকে ৭৫ টি পাঠা বলি দেওয়া হলেও এখন সেটাও কমে আসছে। মেলার বিভিন্ন জায়গায় পথ চলতি মানুষদের জন্য খোলা হয়েছে জলছত্র। যেখানে উপস্থিত রয়েছেন দুবড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অন্নপূর্ণা বিশ্বাস। মেলার বিষয় বলতে গিয়ে তিনি প্রথমেই বলেন যে এই মেলা বহু প্রাচীন এবং অত্যন্ত জাঁকজমক সহকারে প্রতি বছর উদযাপন করা হয়। তবে তিনি সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন সাবধানে মেলায় চলাচল করতে কারণ ছিনতাই বাজরা যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবমিলিয়ে জমজমাট এ বছরের চাকদহ বিষ্ণুপুর খেদাইতলা মেলা।