এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের ১৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে শহর থেকে গ্রামের প্রার্থী প্রিয়া সরকার গোস্বামীকে নিয়ে আলোচনা সর্বত্র।

মলয় দে নদীয়া :-
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের ১৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে শহর থেকে গ্রামের প্রার্থী প্রিয়া সরকার গোস্বামীকে নিয়ে আলোচনা সর্বত্র।
সমাজে বিভিন্ন ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনের মধ্যে কাজ করার অভ্যাস তার আগে থেকেই। করোনার মধ্যে শাশুড়ি দূর্গারানী সরকারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে, গড়া প্রকৃত বন্ধু নামে একটি অটো, টোটো এবং চারচাকা গাড়ি অসুস্থ মানুষদের সারা বছর কখনো বিনামূল্যে কখনো বা শুধুমাত্র তেল খরচে হাসপাতাল স্বাস্থ্য কেন্দ্র এমনকি কলকাতাতেও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা সারা বছর ধরে।
২০১৯ সালে দাদু শশুরের স্মৃতির উদ্দেশ্যে মনমোহন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি গঠনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন ধরনের প্রান্তিক পরিবার এবং মানুষজনের পাশে দাঁড়ানো সহ সামাজিক বিভিন্ন দায়িত্ব পূরণে বছরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হয়ে থাকে।
তবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আর রাজনৈতিক ক্ষেত্রের মধ্যে , উদ্দেশ্য এক হলেও পরিসর পরিকাঠামো অনেক বড় । তাই আরো বেশি মানুষের কাজ করার সুবিধা মেলে এখানে, তাই রাজনীতিতে পদার্পণ এমনটাই জানালেন তিনি। তবে, তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও আজ থেকে ১১ বছর আগে বিয়ে হয়ে আসা এই সরকার বাড়িতে, শশুর মাধব সরকার দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর, স্বামী মনোজ সরকার এবং দেওর মনি সরকারের রাজনৈতিক পরিচিতিও ছাত্রনেতা হিসেবে। প্রথমে কংগ্রেস পরবর্তীতে ১৯৯৮ তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম লগ্ন থেকেই, দক্ষিণ পন্থী পরিবার হিসেবে জেলার সকলের কাছেই সুপরিচিত।
তবে শহর থেকে গ্রামে কেনো! এই প্রশ্নের উত্তরে প্রার্থী প্রিয়া জানায়, তার বাবা প্রশান্ত গোস্বামী বর্তমান তার নির্বাচনক্ষেত্র খাপড়াডাঙ্গা নতুন পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন, তাই ছোট থেকে নটা বছর কেটেছে এই গ্রামে। এরপর বাবার ব্যবসায়িক কাজের সুবিধার্থে চাকদায়, চলে যাওয়ার পর, বিবাহ হয় তাদের গ্রামের বাড়ির লাগোয়া শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সরকার পরিবারের। একদিকে শ্বশুরবাড়ি অন্যদিকে বাপের বাড়ি নির্বাচন খুব একটা কঠিন নয় তার কাছে। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাউকেই দেখছেন না তিনি, কারণ রাজনৈতিক বিরোধীতা থাকলেও ব্যক্তিগত ভাবে দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে সকলের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিগত দিনে। সর্বোপরি শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামীর আশীর্বাদ প্রাপ্ত তিনি তাই নির্বাচনে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, বরং রাজ্য সরকারি বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ফলে, জয়ের পথ অনেকটাই সহজ বলে মনে করেছেন তিনি।