মলয় দে নদীয়া :- আবারো সেই নদীয়ার শান্তিপুর আরবান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের ছোট জিয়াকুড় গ্রামে ভৌতিক বিষয় নিয়ে চাঞ্চল্য ।
সম্প্রতি বছরদুয়েক আগে, ভূত সন্দেহে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তির জেরে জেলা প্রশাসনকে পর্যন্ত উপস্থিত হয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে হয়।
এবারেও প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছে দুদিন আগে। ওই এলাকার গণেশ রাজোয়ারের পঞ্চাশোর্ধ স্ত্রী সবিতা রাজোয়ার , আদিবাসী অন্যান্য পরিবার সদস্যদের মতন তিনিও কৃষি শ্রমিক। তবে আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনার কারণে বাড়িতে নিজের তৈরি মন্দিরে বিভিন্ন রকম পুজো অর্চনা করে থাকেন।
সবিটা দেবীর স্বামী গণেশ রাজোয়ারের অভিযোগ অনুযায়ী
জমিজমা সংক্রান্ত শরিকী সমস্যায় তাদেরই এক নিকট আত্মীয় রটিয়ে দেয় তার স্ত্রীর মধ্যে ভূত প্রবেশ করেছে। এবং নানান রকম ভৌতিক কাজকর্ম সে বাড়িতে করে থাকে। গ্রামাঞ্চল এলাকায় এই কথা লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে, শুধুমাত্র তার সম্মানহানি হয়েছে তাই নয় তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
সবিতা দেবীর মেয়ে শোভা রাজোয়ার বলেন, পার্শ্ববর্তী আর বলদা গ্রামে, এক পরিবারে শুধু বর্ধমান থেকে এক ওঝা এসে আমার মাকে না দেখেই মন্তব্য করে যে তার মধ্যে ভূত ঢুকেছে এবং ওই এলাকায় আরো একজন গৃহবধুর মধ্যেও অপর এক ভূত প্রবেশ করেছে। আর এতেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে, আজ থেকে দুদিন আগে সন্ধ্যার সময় মাকে সেই গ্রামে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে ওই এলাকার বেশ কিছু যুবক। প্রথমে পরিবারের সকলে ভেবে যে তিনি তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেছে, হয়তো ফিরে আসবে রাতের মধ্যেই, কিন্তু সারারাত তাকে না পেয়ে পরের দিন সকালে ওই গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে, বাড়িতে আসার পরে একদিন কেটে গেলেও তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। অন্যদিকে শরীরের বেশ কয়েকটি অংশে ফোলা এবং আঘাতের চিহ্ন দেখে আজ শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হবে। একজন মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে এভাবে বেধড়ক মারধরের জন্য দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার