মালদা,১৪ জুন:
পঞ্চায়েতের টিকিট ঘোষণা হতেই একরাশ ক্ষোভ ও অভিমান নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেল থেকে গণইস্তফা দিলেন মালদা জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। বুধবার মালদা প্রেস কর্নারে হাজির হয়ে দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি ও অন্যান্য নেতৃত্বরা। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই দলের হয়ে সমস্ত কর্মসূচি পালন করলেও ভোটের মুখে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের কোন স্তরেই সংখ্যালঘু সেলের কোন নেতৃত্বকে প্রার্থী পদ দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে, একরাশ ক্ষোভ নিয়েই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্বজন পোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন সংখ্যালঘু সেলের মালদা জেলা নেতৃত্ব।
তাদের বক্তব্য, ২০২১ সালের নির্বাচনে মিমের মত একটি দলের জেলাস্তরের বহু নেতাকে ভাঙ্গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়েন করানো হয়েছিল আইপ্যাকের নির্দেশে। অথচ, দলের হয়ে এত পরিশ্রম করার কোন ফল পেল না সংখ্যালঘু সেল। সংগঠনের জেলা সভাপতি মুশারফ হোসেন জানান, প্রতিটি ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংখ্যালঘু সেলের নেতারা ক্ষোভের কথা জানাচ্ছেন। তাদের জবাব দিতে পারছি না। ফলে, এক প্রকার আলোচনা করেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। মালদা জেলা জুড়ে আপাতত ১ হাজার ৭৫ জন জেলা, ব্লক ও অঞ্চল নেতৃত্ব গণহারে ইস্তফা দিলেন বলে জানা গিয়েছে। সংখ্যালঘু সেলের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আনহারুল হক জানান, ২০১০ সাল থেকে মন প্রাণ দিয়ে আমরা দলটা করছি। দলকে প্রতিষ্ঠা করতে যাদের ইতিহাস নেই তারাই আজকে জেলায় দলের সর্বেসর্বা। আমাদের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও সভাপতি মুশারফ হোসেনকে দুটি জেলাপরিষদ সিটে প্রার্থী করার দাবী জানিয়েছিলাম। সেই আবেদন রাখেনি দল। পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিতেও কোন টিকিট জোটেনি। ফলে, কর্মী ও অনুগামীদের উত্তর দেওয়ার মতন কোন জায়গা ছিল না। তবে সংখ্যালঘু সেলের পদত্যাগী নেতৃত্বরা জানিয়েছেন, দলের সদস্যপদ তারা ছাড়েননি। এক্ষুনি দল ছাড়ার মতো কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তারা। দলের সাধারণ কর্মী ক্যাডার হিসাবে তারা মমতা ব্যানার্জীর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে দল করবেন বলে জানা গিয়েছে।





