তৃণমূল কর্মী কে না পেয়ে তার 13 বছরের নাবালক পুত্রকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে, এলাকাবাসীর জাতীয় সড়ক অবরোধ, অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির

এক তৃণমূল কর্মীর ছেলেকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ গতকাল রাত্রি 2:30 নাগাদ শান্তিপুর ব্লকের বাগদিয়া দক্ষিণ দাস পাড়ার তৃণমূল কর্মী জয়দেব দাসের বাড়িতে স্থানীয় বেশকিছু বিজেপি দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। জয়দেব দাস কে না পেয়ে তার 13 বছর বয়সী ছেলে অভিজিৎ দাস কে বেধড়ক মারধর করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় এর আগেও জয়দেব দাস তৃণমূল করাতে তাকে বারংবার হুমকি দেয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গতকাল ওই এলাকায় একটি বাউল গানের অনুষ্ঠান চলছিল অনুষ্ঠানের শেষে বেশকিছু বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী জয়দেব দাসের বাড়িতে হামলা চালায়। তাকে না পেয়ে তার ছেলে বিশ্বজিৎ দাসকে বেধড়ক মারধর করে শনিবার তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক হওয়ায় রানাঘাট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে শান্তিপুর বাগদিয়া মোড়ে প্রায় কুড়ি মিনিট 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় বেশকিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক। ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার পুলিশ এসে আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় তৃণমূল কর্মী সমর্থক সহ গ্রামবাসীরা। তারা জানান শিশুটিকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে, শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ এখনো পর্যন্ত করা সম্ভব হয়নি তবে তা সন্ধের মধ্যে করা হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিজেপির পক্ষ থেকে সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানান, গতকাল বাউল গানের অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ার কারনে স্থানীয় তৃণমূল এবং বিজিপির হাতাহাতি হয় দু’পক্ষের মধ্যে, তবে বাড়িতে চড়াও হওয়ার খবর আমার কাছে নেই, ফুলিয়া পাড়া ঘটনায় গরম জল বা শারীরিক আঘাত এর মেডিকেল রিপোর্ট তেমন কিছু পাওয়া যায়নি! এক্ষেত্রেও শিশুটির মেডিকেল রিপোর্ট দেখলেই বোঝা যাবে, তার অন্য কোন অসুস্থ থাকলেও প্রহার করা হয়নি।