কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের একাধিক জায়গায় কৃষি জমির মাটি কেটে অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজ চলছে

কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের একাধিক জায়গায় কৃষি জমির মাটি কেটে অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজ চলছে।এর ফলে এলাকায় যেমন কৃষিজমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে তেমনি হাজার হাজার বিঘা জমির জল নিষ্কাশন পদ্ধতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বহু জমির ফসল কার্যত নষ্ট হচ্ছে। এরফলে সংকটে পড়ছে ক্ষুদ্র প্রান্তিক চাষিরা।

কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত চরকতলা কলোনি গ্রামের পাশেই একটি বড় কৃষিজমি মাঠ আছে।নাম গাজিয়া মাঠ।এই মাঠে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ বিঘা জমিতে দীর্ঘদিন থেকে চাষবাস হয়।এই মাঠে বছরে তিন থেকে চার বার বিভিন্ন ধরনের ফসল হয়।মূলত গঙ্গাপ্রসাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম সহ একাধিক গ্রামের কয়েক হাজার ক্ষুদ্র প্রান্তিক চাষী এই মাঠে চাষ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।স্থানীয় মানুষরা এই শস্য শ্যামলা মাঠটিকে সিঙ্গুরের মাঠের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন।

কিন্তু গত কয়েক বছর থেকে এর মধ্যেই কিছু কিছু জমিমালিক তাদের জমিতে রাতারাতি অবৈধভাবে বড় বড় পুকুর তৈরি করছে।ফলে সেখানে আশেপাশের সমস্ত ফসলি জমির অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।আশেপাশের সেই জমির কোন ফসল ঠিকঠাক ভাবে হচ্ছে না। এর ফলে এলাকার সমস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের সর্বনাশ হতে চলেছে ।

স্থানীয় গাজিয়া পাড়া মাঠের এক ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষক আজমারুল শেখ জানিয়েছেন,” আমরা ক্ষুদ্র প্রান্তিক গরিব চাষি। আমাদের ছোট্ট ছোট্ট জমি আছে। সেই মাঠে বছরে তিন থেকে চারবার বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলিয়ে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু সেই মাঠের মাঝে কিছু কিছু ব্যাক্তি পুকুর করছে এবং আমাদের জমির জল নিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ফলে এই গাজিয়া পাড়া মাঠের প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ বিঘা জমিতে চাষবাস বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে।এই চাষবাস বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের হাজার হাজার কৃষকদের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাবে।এই ফসলি জমির মাটি যদি পুকুর কাটা বন্ধ না হয় তাহলে আমরা চরম সঙ্কটের মধ্যে পরবো।