করোনার আক্রমণ থেকে দূরে থাকতে গত বছরে আজকের দিনে ঘোষিত হয়েছিলো লকডাউন

2019 সালের মাসে চীনের উহান শহরে প্রথম সন্ধান মেলে এক মারণ ভাইরাসের! তখন বিদেশি থাকলেও ক্রমাগত আপন হতে থাকে এই মারণব্যাধি। গতবছর অর্থাৎ 2020 সালে, এই মার্চ মাসের শেষের দিকে ভারত বর্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গে পদার্পণ করেছিলো অদৃশ্য দানব। তখন অবশ্য সারাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো 315 জন যা আজ এক কোটি ছাড়িয়েছে! আর আমাদের দেশে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নামিদামি থেকে শুরু করে সাধারণ! 1 লক্ষ 60 হাজার জন ভারতীয়কে হারিয়েছি আমরা। গত বছরে গত কালকের দিনটিতে দেশের কেন্দ্রীয় সরকারও কোন উপায়ে বুঝতে না পেরে, জনতার কারফিউ ঘোষনা করেছিলো নিজেদের ঐক্যবদ্ধ ও মানসিক ধৈর্য্য বৃদ্ধি করতে। গতবছরের আজকের দিন অর্থাৎ 22 শে মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল লকডাউন! ইতিহাসে জনজীবনের এইরকম স্তব্ধতা নজির পাওয়া যায়নি এর আগে। টানা প্রায় আট মাস বাদে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়েছে সরকারি তরফে! তবে ঘরে বসে অনলাইনের উপর ভরসা করে, টিভিতে দেশের খবর খবর নিয়ে সাময়িক দুশ্চিন্তা কাটলেও, দারিদ্রতার হাতছানি দিয়েছে প্রায় প্রতিটি পরিবারেই। এরই মাঝে বিভিন্ন পূজা পার্বন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সভা-সমিতি রাজনৈতিক যোগদান, অবশেষে ভোট প্রচার! অনেক কিছুই ভুলে গিয়েছি আমরা, তবে দ্বিতীয়বারের জন্যেও যে লকডাউন হবে না একথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। আক্রান্তের খবর হোক বা মৃত্যু অনেকটাই হয়ে গেছে আমাদের, স্বাস্থ্যবিধির অনেক নিয়ম কানুন ভুলে, মাস্ক ব্যবহার পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছি আমরা! আসলে আমরা হয়তো এমনই , অবোধ শিশুর মতো! কড়া পদক্ষেপ না নিলে, হেলায় হারাই নিজেদের প্রিয়জনদেরও। সংগত কারণেই
তাই আজকের দিনে বর্ষপূর্তি কথাটাতেও প্রবল আপত্তি থাকার কথা অনেকের।
বরং বছরের শেষে দেখেনিই জেলার করোনা পরিস্থিতি। নবান্নের এক সহকারী সচিব এবং তার পুত্র, এবং স্বামী পেশায় চিকিৎসক এই তিনজনের কর্মকাণ্ড নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে! এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেও মূলত নদীয়াতে তেহটটো চাপড়া এলাকায় প্রথম সংক্রমণ ঘটে।
এক বছর বাদে জেলায় 2,34571 জনের রক্তের নমুনা সংগৃহীত হয়েছে, যার মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন 18531 জন, বিভিন্ন কোভিদ হাসপাতালে চিকিৎসারত মৃত্যু হয়েছে 294 জনের এবং জেলা থেকে জেলার বাইরে চিকিৎসারত অবস্থায় 46 জন।
এই এক বছরের মধ্যে মাত্র একদিন জেলায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি, বাকি প্রত্যেকদিনই কোনো না কোনো ব্লক শহর থেকে আক্রান্তের খবর এসেছে। পুলিশকর্মী ,স্বাস্থ্যকর্মী এবং ভোট কর্মী অবশেষে ষাটোর্ধ্ব প্রবীনদের টিকাকরণের ব্যবস্থা হলেও, সাধারণ মানুষ আজও ধোঁয়াশায়, নির্বাচনের পরে কতটুকু সচেষ্ট হবেন জনসাধারণের স্বাস্থ্যের বিষয়ে? তবুও চিরাচরিত ভোট উৎসবে মাতোয়ারা একশ্রেণীর মানুষ!