বড়দিনের দিন স্বর্গীয় মানিক উপাধ্যায় ও পাপ্পু উপাধ্যায় মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হলো:-
বারাবনি :-
বারাবনি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দ্যেগে গৌরান্ডি ফুটবল ময়দানে বড়দিনের দিন শনিবার এগারো তম স্বর্গীয় মানিক উপাধ্যায় ও পাপ্পু উপাধ্যায় মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার আয়োজন করা হয়।এই ফাইনাল খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা কাস্টমস বনাম এসবিএইচসি পাঞ্জাব দলের মধ্যে।নির্ধারিত সময়ের খেলাই কলকাতা কাস্টমস দল পাঞ্জাব দলকে দুই গোলে পরাজিত করেন।খেলাটি পরিচালনা করেন তাপস মন্ডল,সৈকত গিরি,রূপেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুখেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।ফাইনাল খেলায় বিজয়ী দলকে এক লক্ষ টাকা ও একটি কাপ দেওয়া হয় তাছাড়া রানার্স দলকে ৭৫ হাজার টাকা ও কাপ প্রদান করা হয়।পুরস্কার গুলি খেলোয়াড়দের হাতে তুলেদেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এবং বাংলা চলচিত্র নায়িকা ঐন্দ্রিলা সেন এবং বারাবনি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অসিত সিংহ সহ সমাজসেবিকা তথা বারাবনি বিধায়কের স্ত্রী সূচিস্মিতা উপাধ্যায়,জেলা পরিষদ কর্মদক্ষ মোঃ আরমান,জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ পূজা মাড্ডি,বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মালা বাউরি,সহ সভাপতি সুকুমার সাধু, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাসি,সহ সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র সহ আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।
এই খেলা প্রসঙ্গে বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় জানান এই খেলার একাদশ তম বর্ষ,স্বর্গীয় মানিক উপাধ্যায় ও স্বর্গীয় পাপ্পু উপাধ্যায়কে স্মরণ করে তাদের স্মৃতি উদ্যেশে এই বিশাল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বারাবনি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস,এই কটা দিন মনে হচ্ছে উৎসব এত মানুষ খেলা দেখতে আসছে আমি সত্যি খুব আনন্দিত।
বারাবনিতে এসে বাংলা সিনেমা ও ধারাবাহিক জগৎতের চলচিত্র নায়িকা ঐন্দ্রিলা সেন জানান এত মানুষ খেলাকে ভালোবাসে সেটা বারাবনিতে এসে দেখ লাম খুব ভালো লাগলো।
এই প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে বারাবনি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য অসিত সিংহ বলেন আজ থেকে এগারো বছর আগে স্বর্গীয় মানিক উপাধ্যায়ের নামে এই খেলা শুরু হয়ে ছিলো পরে যুব নেতা পাপ্পু উপাধ্যায় মারা যাবার পর এই টুর্নামেন্টটি স্বর্গীয় মানিক উপাধ্যায় ও পাপ্পু উপাধ্যায়ের নামে করা হয়।বারাবনি মানুষ ফুটবল খেলাকে খুব ভালোবাসে তাই আজ খেলা দেখার জন্য প্রায় ২০হাজারের ও বেশি মানুষ ভিড় জমিয়েছে।আগামী দিনে এই প্রতিযোগিতা আরো বড় আকার নিবে।
কাজল মিত্রের রিপোর্ট