– কিছুদিন আগেই কোভিদ আক্রান্ত হয়ে,শান্তিপুর পৌরসভার ছবারের চেয়ারম্যান, এবং 5 বারের বিধায়ক অজয় দের মৃত্যু হয়। শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা নদিয়ায়। কিন্তু জেলা নেত্রী বা জেলা কমিটির কাউকে দেখা যায়নি সেই দিন মৃতদেহ সৎকারের আগে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর জন্য। যদিও বহুদিনের রাজনৈতিক সতীর্থ সংকর সিংহ নার্সিংহোমে ভর্তির বিষয়ে পাশে ছিলেন বলে জানা যায় দলীয় সূত্রে। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত মিটিং ভার্চুয়াল ভাবে সারছেন, এবং সেই ভাবেই নির্দেশ দিচ্ছেন দলীয় কর্মীদেরও। তবে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে, এবং শান্তিপুরের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ভূমিকায় থাকা অজয় দের মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে শোক বার্তা না পেয়ে মর্মাহত শান্তিপুর বাসী।
কিন্তু তার পরও জেলার, কোনো নেতৃত্বের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি! দোরগোড়ায় রয়েছে উপনির্বাচন! তখন কর্মীদের তৃণমূলের হয়ে ভোট প্রচারে প্রয়োজন পড়বে তো! এরকম অভিমানী শুরও শোনা যাচ্ছে, অজয় ঘনিষ্ঠ মহলে। তবে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন অনেকেই, আগামী উপনির্বাচনে টিকিট পাওয়ার ইচ্ছায় বিভিন্নভাবে নিজের নাম ভাসিয়ে প্রচারে আলোয় আসতে চাইছেন অনেকেই, সেইমতো জেলা রাজ্যস্তরে উচ্চপদস্থ নেতৃত্ব সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন নিয়মিত।
গতকাল অজয় দের নিজস্ব বাসভবনে শ্রাদ্ধ বাসরে, উপস্থিত থাকতে দেখা গেল মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। গতকাল তৃণমূল ভবনে স্মরণসভার আয়োজন, চলেছে শহর সভাপতি অরবিন্দ মৈত্রর নিষেধ ছাড়াই। এমনকি অজয় দেব সাথে পারিবারিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও, তাকে বাসভবনের স্মরণসভায় বলা হয়নি বলেই জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রতিটি অঞ্চলে ওয়ার্ডে এমনকি বেশকিছু পাড়াতেও ছোট ছোট করে স্মরণ সভা হয়ে গেছে, গ্রাম শহরের দূর দূরান্ত থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে পার্টি অফিসে নিয়মিত শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা চালু ছিলো। তার পরেও জেলা নেতৃত্ব কথা অমান্য করে, কেন এই জমায়েত বুঝতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে অবশ্য, অজয় দের ঘনিষ্ঠ কোন কাউন্সিলর প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি, তবে সংকর সিংহ, বর্ণালী দে, চাপড়ার বিধায়ক রূকবানু রহমান, নদীয়া জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডুর উপস্থিতিতে গতকালকের তৃণমূল ভবনের স্মরণসভায় , উপস্থিত হয়েছিলেন বেশ কিছু মানুষ। জেলা নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, স্মরণ সভা অন্য কোন রাজনৈতিক সমীকরণ কে নির্দেশ করছে না তো! একশ্রেণীর রাজনৈতিক সচেতন মানুষ কিন্তু এমনটাই মনে করছেন। তবে শান্তিপুরের আবেগ তাকে ঘিরে থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক , তাই তাঁকে সমাজের অন্য অংশ সালমান জানাচ্ছেন তাদের নিজেদের মতন করে, আজও শান্তিপুরে বিভিন্ন সোনার দোকান বন্ধ রেখেছেন , তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। বিভিন্ন ক্লাব, বারোয়ারি, সংস্থা তাদের নিজেদের মতন করে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, তবে কোনভাবেই জমায়েত করে না।