দুদিনে নদীয়ার বারোটি সভা করলেন “খেলা হবে” র স্রষ্টা দেবাংশু ভট্টাচার্য্য

নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির কাছে বিভিন্ন জেলা থেকে আবেদন বক্তা হিসেবে দেবাংশু ভট্টাচার্য কে পাঠানোর জন্য। সেই থেকে প্রতিদিনই কোনো না কোনো জায়গায় সভা করে চলেছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে নদীয়ার বারোটি সভা করলেন তিনি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রানাঘাট উত্তর পূর্ব কেন্দ্রে, রানাঘাট উত্তর পশ্চিম শান্তিপুর, নবদ্বীপের আটটি সভা করেন গতকাল। আজ কৃষ্ণনগর উত্তর, দক্ষিণ এবং করিমপুরে আরো চারটি সভা করতে চলেছেন। গতকাল রাত আটটা পর্যন্ত তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা অধীর আগ্রহে বসে শান্তিপুর বিধানসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ কলোনির প্রাঙ্গণে, যেখানে এই বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট প্রচারে আসার কথা আট থেকে আশির মুখে হাসি ফোটানো শব্দ “খেলা হবে” র স্রষ্টা দেবাংশু ভট্টাচার্য্য। জানিয়ে এ বছর ভোট বৈতরণী পার করছে তৃণমূল, শুভেন্দু অধিকারী বলতে বাধ্য হয়েছেন ধার করা শব্দ, যে শব্দ বারবার উচ্চারিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকলের মুখেই। সমগ্র আইটি সেল সুপরিকল্পিতভাবে, আর নয় অন্যায়, জয় শ্রীরাম নানা শব্দেও ঢাকা দিতে পারিনি । এদিন শান্তিপুরে দেবাংশু অদ্ভুত সম্মোহিত করেন কর্মী-সমর্থকদের, তিনি সকলের মোবাইলের টর্চ জ্বালাতে বলেন সরকার গঠনের উদ্দেশ্য, বোধ বুদ্ধি সম্পন্ন সকলেই। এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের সেলফি তোলা, একসাথে গান করা, একটু কোমর দুলিয়ে কর্মীদের যে টোটকা দিয়ে গেলেন তা আসন্ন নির্বাচন কেটে যাবে এমনটাই বিশ্বাস করেন দলের অভিজ্ঞরাও।