সামাজিক মাধ্যমে শিশু কন্যার ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচ, আপনার মহানুভবতার সুযোগ নিয়ে সেই সহযোগিতা অন্য কোথাও পৌঁছে যাচ্ছে না তো! কি জানালেন পরিবার..

সামাজিক মাধ্যমে শিশু কন্যার ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচ, আপনার মহানুভবতার সুযোগ নিয়ে সেই সহযোগিতা অন্য কোথাও পৌঁছে যাচ্ছে না তো! কি জানালেন পরিবার..

মলয় দে নদীয়া :- রানাঘাটের এক শিশু কন্যার বাঁচানোর করুন আর্তি এখন সামাজিক মাধ্যমে সকলেরই জানা! তবে আপনার মহানুভবতার সুযোগ নিয়ে সেই সহযোগিতা অন্য কোথাও পৌঁছে যাচ্ছে না তো! গতকাল শান্তিপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন বাদ দিয়ে সদস্যদের সব রকম আর্থিক সাহায্য একত্রিত করে অস্মিকাকে বাঁচাতে সামান্য সহযোগিতা পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন সেই পরিবারে। তবে যে অনুমানে তারা সরাসরি বাড়িতে সহযোগিতা করতে গিয়েছিলেন তা পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা ভিত্তিক নিশ্চিত হন সামাজিক মাধ্যমে বেশকিছু ফন্দিফিকির বা স্ক্যাম চলছে শিশুটিকে নিয়ে।

আগামী জানুয়ারি মাসে এক বছর পূর্ণ হবে রানাঘাটে স্পাইনাল মাসকুলার এট্রফি আক্রান্ত ছোট্ট এক রতি শিশু অস্মিকা দাসের এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভুয়ো স্ক্যানার ঘুরে বেড়াচ্ছে অস্মিকার চিকিৎসার খরচের কারণে। সেই সমস্ত ভুয়া স্ক্যামারদের এবার সতর্ক করলেন অস্মিকার বাবা-মা। একদিকে ১৬ কোটি টাকা খরচ হবে অস্মিকাকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে। তারি মধ্যে রাজ্য তাদের দেশের শতাধিক মানুষ অস্মিকার এই চিকিৎসার জন্য নিজেদের মতো আর্থিক সাহায্য করছেন। এখনো পর্যন্ত দু কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা উঠেছে অস্মিকার চিকিৎসা খরচের। এখনো বাকি প্রচুর অর্থের। না হলে হয়তো প্রাণে বাঁচানো যাবে না ছোট্ট অস্মিকাকে। অপরদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রকমভাবে গুজব এবং ভূস স্ক্যানার ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছোট্ট শিশুর চিকিৎসার খবর প্রচার করে একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করছে। প্রয়োজন হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও নিতে পারেন অস্মিকার বাবা এবং মা। প্রচুর সহৃদয় ব্যক্তির সহযোগিতার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে তারা জানিয়েছেন ইমপ্যাক্ট গুরু নামে একটি ওয়েবসাইট আছে সেখানে গিয়ে যার যেরকম সামর্থ্য অর্থ দিয়ে অস্মিকার চিকিৎসার জন্য সাহায্য করলে সেখানে দেখা যাবে সকলের নিজ নিজ সহযোগিতার পূর্ণাঙ্গ তথ্য এখনো পর্যন্ত ২ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা সাধারণ মানুষের অনুদান পাওয়া গেছে। আগামী জানুয়ারি মাসে এক বছরে পড়বে ছোট্ট অস্মিকা দেড় বছরের মধ্যে দিতে হবে সেই ব্যয়বহুল বিরল ইনজেকশন। তাই হাতে সময় বড়ই অল্প! তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্ত হয়ে সহৃদয় ব্যক্তিদের সহযোগিতা যাতে অন্যত্র নষ্ট না হয় সেই কারণে ওই লিংক ছাড়াও একটি প্রকৃত স্ক্যানার দিয়েছেন এভাবেও রানাঘাটে তাদের বাড়িতে এসেও সহযোগিতা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে পরিবার।