বর্তমান কলকাতা ভবানী ভবন নামকরণের কারণ কি !আগেই বা কি নামে ছিলো? জানুন পরিবারের মুখ থেকে

বর্তমান কলকাতা ভবানী ভবন নামকরণের কারণ কি !আগেই বা কি নামে ছিলো? জানুন পরিবারের মুখ থেকে

মলয় দে নদীয়া :- সম্প্রতি নদীয়ার কৃষ্ণনগরে ঐকতান অবৈতনিক শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন করতে এসেছিলেন বেশ কিছু স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে অন্যতম ফাল্গুনী ঘোষাল তিনি শহীদ ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্যের সম্পর্কে নাতি জামাই। নাতনির নাম তনুজা ঘোষাল।
বর্তমানে কলকাতা আলিপুরে অবস্থিত ভবানী ভবন রাজ্য সরকারের দফতরের স্বাধীনতা সংগ্রামী অমর শহীদ বিপ্লবী ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্যের নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অত্যাচার থেকে ভারতকে স্বাধীন করার জন্য অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসক জন এন্ডারসন সাহেব কে হত্যা করার অভিযোগে মহান বিপ্লবী ফাঁসি হয়। ১৯৩৪ সালে বাংলার অত্যাচারী রাজ্যপাল জন অ্যান্ডার্সনকে গুলি করেন তিনি। ১৯৩৫ সালের ২৩রা ফেব্রুয়ারি বিপ্লবী ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্যের ফাঁসি হয় বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার কেন্দ্রীয় কারাগারে। ১৯৬৯ সালে শহীদ পরিবারের আবেদনে যুক্তফ্রন্ট সরকার অ্যান্ডারসন হাউজের নামের পরিবর্তে শহীদ ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্যের নামে ভবানী ভবন নামকরণ করেন। ২০১৫ সালের শহীদের পরিবার থেকে বর্তমান রাজ্য সরকারকে আবেদন করা হয় শহীদ ভবনী প্রসাদের ভট্টাচার্যের একটি স্ট্যাচু করা হোক। শহীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্য সরকার শহীদ ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্যের স্ট্যাচু বসিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । যদিও পরিবারের এই ইচ্ছা পূরণ হওয়ার পর অনুপ্রাণিত হয়ে সকল পরিবারের সমবেত সিদ্ধান্তে খোঁজা শুরু হয় অন্যান্য শহীদ পরিবারের সদস্যদের একের পর এক বারে তালিকায় নাম।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ,প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, বাঘাযতীর, তারকেশ্বর সেনগুপ্ত পরীক্ষিত মুখার্জি, হেমন্ত সরকার দের মতো দেশবরেণ্য প্রায় ৩৫ টি বীর শহীদদের পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম এবং অনুশীলন সমিতি, সূর্যসেন স্মৃতি রক্ষা কমিটি র মত বেশ কিছু সংগঠনের কর্মকর্তা তাদের সকলকে নিয়ে বর্তমান সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ করে নিয়মিতভাবে অনুপ্রেরণামূলক এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে সামিল হচ্ছেন তারা, আর এর ফলে দেশ ভক্তি এবং অতীতের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের নানান কাহিনী জানতে পারছে এ প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা।