লাগাতার বৃষ্টির জেরে নদীয়ার ধুবুলিয়ায় রাস্তায় ধ্বস! সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রায় ৪০০ পরিবার কার্যত বসবাস করছে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে

লাগাতার বৃষ্টির জেরে নদীয়ার ধুবুলিয়ায় রাস্তায় ধ্বস! সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রায় ৪০০ পরিবার কার্যত বসবাস করছে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে

মলয় দে নদীয়া:- ক্রমাগত নিম্নচাপের জেরে লাগাতার বৃষ্টিতে যখন চাষাবাদ সহ বিভিন্ন পেশায় মানুষ যখন বিপর্যস্ত ঠিক তারই মধ্যে নদীয়ার ধুবুলিয়া দলিমৌলা গ্রামের চার শতাধিক পরিবার আনুমানিক প্রায় এক হাজার ভোটার কার্যত একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বসবাস করার পরিস্থিতি হয়েছে। সেখানকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রতি কয়েক বছর আগে তৈরি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তায় ধস নামে গতকাল। এলাকাবাসীর অনুমান সম্প্রতি পানীয় জলের পাইপলাইন বসানোর কাজ হয়েছিল কিছুদিন আগে, আর তখনই রাস্তার নিচে গর্তে ঠিক মতন মাটি ভরাট না হওয়ার কারণেই নাকি এই ধ্বস!
তবে আশেপাশের হাসাডাঙ্গা বনগ্রাম ভট্টনগর পন্ডিতপুর শ্রীকৃষ্ণপুর সহ বিভিন্ন এলাকার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, দলিমৌলা এই গ্রামের। আর তার ফলে দুটি মাধ্যমিক এবং দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের যাওয়া, কৃষি প্রধান এই গ্রামে মাঠ থেকে ফসল আনা কিংবা ধুবুলিয়া বাজারে ফসল বিক্রি করতে যাওয়া, অসুস্থতার জন্য গ্রামীণ চিকিৎসালয়ে যাওয়া এসবই বিপর্যস্ত। বিকল্প হিসেবে পার্শ্ববর্তী একটি রাস্তা থাকলেও অন্য গ্রামে যাওয়ার মাত্র হাফ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ।
তবে গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির হলেও তৃণমূল পরিচালিত ধুবুলিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে গত ১৪ই আগস্ট এই রাস্তার বিষয়ে কৃষ্ণনগর ২ নম্বর ব্লকের বি ডিও, জেলাশাসক ,সদর মহকুমা শাসক, জল জীবন মিশন সহ বিভিন্ন আধিকারিক এবং দপ্তরে তারা একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু এতদিনেও তার সুরাহা হয়নি।
এখন সাধারণ মানুষ তাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রধান যাতায়াতের পথ কবে মেরামতি হয় সেই প্রতীক্ষায় সরকারি আধিকারিক এবং বিভিন্ন দপ্তরের দিকে তাকিয়ে।