বাংলায় ৪৫ বছরের কমবয়সি প্রার্থী মোট সংখ‌্যার অর্ধেকও নয়

বাংলায় ৪৫ বছরের কমবয়সি প্রার্থী মোট সংখ‌্যার অর্ধেকও নয়
দূর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দামন্দ করা। বা হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকে ফরোয়ার্ড হতে থাকা মিমকে প্রশয় দেওয়া। কিংবা চায়ের কাপে সমালোচনার তুফান ছোটানো। এ কাজ সহজ। কিন্তু মুখে বড় বড় কথা বললেও সংসদীয় রাজনীতির ‘শুদ্ধিকরণ’এর জন্য প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার কথা বললেই দেখবেন, পিছিয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ। আক্ষেপ পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদদেরই।
এবারের সাত দফা ভোটে খবরের কাগজ, ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ৪৫ এবং তারও কমবয়সি প্রার্থীদের গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরছে। কিন্তু শত হইচইয়ের পরও রাজ্যে দেখা গেল, অল্পবয়সি প্রার্থীর সংখ্যা মোট প্রার্থীর অর্ধেকও নয়। ইলেকশন ওয়াচ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪২ আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের ৪৫ এবং তার থেকেও কম বয়সের প্রার্থীর সংখ্যা ১২। অর্থাৎ প্রায় ২৯ শতাংশ। বিজেপিও ৪২ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তাদের কমবয়সি প্রার্থীর সংখ্যা ১৩। অর্থাৎ ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে সংসদীয় রাজনীতিতে যুবসমাজের অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, প্রার্থী ঘোষণার আগে থেকে এমনটা বলে আসছে বামেরা। তবে বাস্তবে দেখা গেল, ২৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। ৪৫ এবং তারও কম বয়সি প্রার্থীর সংখ্যা আট। অর্থাৎ ৩৫ শতাংশের কাছাকাছি। আর বাম-কংগ্রেস জোটের হিসেব দেখলে দেখা যাচ্ছে, সিপিএম ২৩, কংগ্রেস ১৩, আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক তিন করে অর্থাৎ ৪২ প্রার্থীর মধ্যে কম বয়সের প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ১১। অর্থাৎ মাত্র ২৬ শতাংশ, যা সর্বনিম্ন।ইলেকশন ওয়াচ ৫০৭ প্রার্থীকে বয়স অনুযায়ী ছ’টি ভাগে ভাগ করেছে। ২৫ থেকে ৩০ বছর, ৩১ থেকে ৪০, ৪১ থেকে ৫০, ৫১ থেকে ৬০, ৬১ থেকে ৭০ এবং ৭১ থেকে ৮০ বছর। দেখা যাচ্ছে, সবথেকে বেশি প্রার্থীই মধ্যবয়সি। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। দ্বিতীয় স্থানে প্রৌঢ়রা। আর, তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অল্পবয়সিরা।
এ নিয়ে কী বলছে যুব সমাজ? কর্পোরেট সংস্থার আধিকারিক শতরূপা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এনার্জি, পরিশ্রম করার ক্ষমতা, ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা, ইত্যাদি বিচার করলে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে মোট প্রার্থীর অর্ধেকই হওয়া উচিত অল্পবয়সি। কিন্তু ষাটোর্ধ্বরা কি জায়গা ছাড়বেন? দ্বিতীয়ত রাজনীতির অবস্থা দেখে আমাদেরও সক্রিয় অংশগ্রহণে বাধো বাধো ব্যাপার আছে।’ দেবজিৎ দেবগুপ্ত নামে এক সরকারি নিগমের কর্মী বলেন, ‘প্রথমসারির রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীপদে কমপক্ষে যুবসমাজের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ অংশগ্রহণ জরুরি।’