মলয় দে নদীয়া :- “বাংলার মোসলিন বাগদাদ রোমচীন কাঞ্চন তৈলেই কিন্তু একদিন” বাংলার তাঁতকাপড়ের প্রতি, বিশ্ববাসীর আগ্রহ দেখে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এ কথা লিখে গিয়েছিলেন বহু আগেই। বয়ন শিল্পের জন্য পশ্চিমবঙ্গের ধোনেখালি, শান্তিপুরি ,সমুদ্রগড়, চন্দননগরের নাম আজ সারা বিশ্বে সমাদৃত। রেশমের গুটি গরম জলে সেদ্ধ করে তা থেকে তাসুন প্রক্রিয়ায় সুতো উৎপাদন বা শিমুল গাছের ফল থেকে সুতো উৎপাদন, কাপাস চাষ থেকে সূতা প্রাপ্তি ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সহায়ক হয়েছে বিভিন্ন আধুনিক উন্নত মানের যন্ত্র আবিষ্কারের ফলে।আধুনিক উন্নত ব্যবস্থায় বিভিন্ন মিশ্রন রং ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। এর মধ্যে কালো রাজা, এ ধরনের নানান পাকা রং করতে গরম জলে ফুঁটিয়ে রং করার প্রচলন আছে, আবার বেশকিছু হালকা রং ঠান্ডা জলেই করা যায়। দীর্ঘ লকডাউনে কলকাতার বিভিন্ন গদিঘর থেকে সুতো নিয়ে এসে রং করার ব্যবস্থা ব্যাঘাত ঘটে ফলে সেই ঘাটতি পূরণের জন্য এখন যথেষ্ট চাপে রয়েছেন সুতো রং কর্মীরা।