পিকনিকের আনন্দে শব্দের লড়াই গোটা শান্তিপুর জুড়ে, উদাসীন প্রশাসক

মলয় দে নদীয়া:- এই সময় প্রতি বছর বাউনি,সংক্রান্তি, উৎরায়ন, উপলক্ষে নানান পূজো পার্বণ ধর্মীয় রীতিনীতি লক্ষ্য করা যায় গোটা শান্তিপুর জুড়ে। বিভিন্ন জায়গায় বসে মেলা, খুশিতে পরিবার পরিবারগুলি মত্ত হয় চড়ুইভাতিতে। জনশ্রুতি অনুযায়ী তৎকালীন গঙ্গা অববাহিকা বাগআঁচড়া র চরপানপাড়া এলাকায় শ্রীচৈতন্যদেব গঙ্গা বিহারে যাওয়ার সময় এই এলাকায় নেমে নিজে হাতে রন্ধন করে সেরেছিলেন মধ্যাহ্নভোজ। তাই চড়ুইভাতির জন্য বছরের এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সেই উপলক্ষে বর্তমান প্রজন্ম মেতে উঠে আনন্দে, শান্তিপুর থেকে নৃসিংহপুর যাওয়ার মূল রাস্তার উপরেই চলছে শব্দের লড়াই। জেনারেটর ইঞ্জিন ভ্যানের উপর বসিয়ে অপর একটি ভ্যানে দশ-বারোটি বক্স , ডিজে বক্স মাইক একসাথে বাজিয়ে অদ্ভুত আনন্দে মত্ত হয়েছে তারা। তার মধ্যেই দিয়েই পার হতে হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ রোগী অ্যাম্বুলেন্সকে। পুলিশ প্রশাসনকে লক্ষ্য করা গেল না একটিবারের জন্যও। আশেপাশে দু এক জন থানায় ফোন করে জানালেও, লিখিত অভিযোগের অভাবেই তারা ব্যবস্থা নেননি বলে দাবি করে স্থানীয়রা। প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে, আইন ভঙ্গ কারির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা না করলে কোন ব্যবস্থায় কি নেওয়া যায় না তাহলে?