মটরশুঁটির ভুঁই থেকে ফল তোলার জন্য হাত লাগিয়েছেন কৃষক পরিবারের সদস্যরা

মলয় দে , নদীয়া:- প্রাচীন পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী নিওলিথিক যুগের সিরিয়া-তুরস্ক জর্ডান নানা এলাকায় মটরশুঁটির নিদর্শন মিলেছে। পরবর্তীতে প্রাচীন মিশরের নীল নদের বদ্বীপ এলাকায় খোঁজ মেলে একবর্ষজীবী বহু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ডালজাতীয় এই খাদ্যশস্যের।  প্রায় দুহাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দ কালে পাকিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতবর্ষের হরপ্পায় ডাল জাতীয় দানাশস্যের চাষ। ওজন কমাতে, পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, চির তারুণ্য ধরে রাখতে, বাতের ব্যথায়, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে, চোখের উপকারিতায়, চুল পড়া রোধে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে এই ফলের খাদ্যগুণের জুড়ি মেলা ভার। তবে দেশীয় প্রজাতির মটরশুটির ফুল বেগুনি রংয়ের প্রজাপতির আকারে হয়, কাঁচা অবস্থায় নয় শুধুমাত্র ডাল হিসাবে খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। আর হাইব্রিড জাতীয় মটরশুঁটি কাঁচা বিভিন্ন খাদ্যে ব্যবহৃত হয়। আগুরি চাষের ক্ষেত্রে, পোকা লাগা বা ফলন সম্পর্কে অনিশ্চয়তা থাকলেও কৃষকরা লাভের মুখ দেখতে পায়।

নাবি অর্থাৎ দেরি করে চাষ হয়ে গেলেই দাম মেলে না! এমনকি কেজিপ্রতি বই থেকে ফল তোলার জন্য তিন টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া কৃষকের খরচ পর্যন্ত ওঠে না, তাই পরিবারের মহিলারা রান্নার কাজ সেরে সন্তানদের নিয়ে চলে আসে মাঠে। এই রকমই এক চিত্র ধরা পড়লো আমাদের ক্যামেরায়।