নিজস্ব প্রতিবেদন, মৌমিতা দেবনাথ:
শক্তিগড়ের বিখ্যাত ল্যাংচার অজানা ইতিহাস।বর্ধমানের শক্তিগড়, যে জায়গার নাম শুনলে সবার প্রথমে যে জিনিসের নাম মাথায় আসে তা হলো শক্তিগড়ের বিখ্যাত ল্যাংচা। কিন্তু জানেন কি কিভাবে কোথা থেকে এলো সেই বিখ্যাত ল্যাংচা। জানতে হলে চলে যেতে হবে কয়েকশো বছর পেছনে তখন কৃষ্ণনগরের রাজকন্যার বিয়ে হয়েছিল বর্ধমানের রাজকুমারের সাথে। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই রাজকন্যা অন্তঃসত্ত্ব হন আর তখনই বাধ সাজে তার মুখের রুচি সামনে পোলাও মিষ্টান্ন ওর মাংশ কত কি? কিন্তু কোন কিছুতেই রাজকন্যার মুখে রুচি নেই সবেতেই তার অরুচি। নাওয়া খাওয়া তখন প্রায় মাথায় উঠেছে তার এভাবে দিন যেতে যেতে হঠাৎই রানী মাকে রাজকন্যা বললেন কৃষ্ণনগরে এক ধরনের ভাজা রসে ডোবানো মিষ্টি খেয়েছিল সে হতে পারে সেই মিষ্টি খেলে তার মুখের স্বাদ ফিরে আসবে। যেমন বলা অমনি খোঁজ লাগায় সেই মিষ্টির দোকানের খোঁজ নিয়ে জানতে পারা যায় ল্যাংচা ময়রা নামে এক মিষ্টির দোকানদার এই ধরনের ভাজা রসে ডোবানো বড় সাইজের মিষ্টি বানায়। পা লেংচিয়ে হাঁটার কারণে তার নাম ল্যাংচা। সেখান থেকে মিষ্টি নিয়ে আসা হয় রাজকন্যার জন্য অবশেষেই সুস্বাদু মিষ্টি খেয়েই রাজকন্যার মুখের রুচি ফিরে আসে ব্যস আর কি তখন থেকেই ল্যাংচা ময়রার নামে এই মিষ্টির নাম দেওয়া হয় ল্যাংচা। আর সেই ল্যাংচা ময়রাও বর্ধমানের শক্তিগড়ে পাকাপাকিভাবে বাসস্থান শুরু করেন। আর সেই থেকেই সৃষ্টি হয়েছে ইতিহাস বর্ধমানের শক্তিগড়ের সেই বিখ্যাত ল্যাংচা যার স্বাদে আজ কয়েকশো দশক পরেও মজে আছে বাঙালি।