তৃণমূলের হাত থেকে রেহাই পেতে পাত্রসায়রের জননেতা স্নেহাশীষ মুখার্জির বাড়ির সামনে ধর্নায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ

নরেশ ভকত, বাঁকুড়াঃ দল বদলের আশায় এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা পাত্রসায়রের প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন। বুধবার বিকালে পাত্রসায়ের ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১৫০টি সংখ্যালঘু পরিবারের মানুষ স্নেহেশবাবুর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন।

তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে ওই দলের কর্মীরা সিপিএম দলের হার্মাদ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়েছিলেন স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। তাদের দাবি আমরা স্নেহেশ দাদার অনুগামী। পাত্রসায়েরে তৃণমূলের উত্থান যাঁর হাত ধরে, রাজ্যে পালা বদলের পর সেই স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়কেই দলে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছিল। সেই অভিমানে তিনি দল থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন এমনটাই জানা যায়। সেই সময় স্নেহেশবাবু দলের ব্লক সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এবার সম্ভবত সরাসরি তিনি নিজের হাতে গড়া দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছেন গেরুয়া তিলক কেটে।

আবজাল মল্লিক নামে স্নেহাশীষ মুখার্জির এক অনুগামী বলেন , সিপিএমের হার্মাদের সময় আমরা তার নেতৃত্বে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনতে লড়াই চালিয়ে গেছি কিন্তু পরে তৃণমূল কংগ্রেসে তোলাবাজ দুর্নীতিবাজে ভরে যায়। তাই আমরা এখন চাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে স্নেহাশীষ মুখার্জির ছাড়া সম্ভব নয় । তিনি সামনে থেকে বিজেপিতে জয়েন করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করুক আমরা তার সাথে আছি ।

এ বিষয়ে স্নেহাশীষ মুখার্জি বলেন, “একসময় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হিসেবে হার্মাদ পিরিয়ডে লড়াই চালিয়েছি এই মানুষগুলোর সহযোগিতা নিয়ে । কিন্তু বর্তমানে তৃণমূলের মধ্যে সিন্ডিকেট রাজ যেভাবে বাসা বেঁধেছে তার বিরুদ্ধে সকলেই রুখে দাঁড়িয়েছে , তাই আমরাও রুখে দাঁড়াবো “। এই মানুষগুলোকে নিয়ে আগামী দিনে তিনি বিজেপিতে যোগদান করবেন বলেই জানান ।

দীর্ঘ অবসানের পর স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের এই স্বীকারোক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে জলপনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনীতির মানুষদের রঙ পালটায় না, পালটায় শুধু পতাকার রঙের।