মহম্মদ নাজিম আক্তার,মালদা :- বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে ক্রমশ সরগরম হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি।একদিকে দিলীপ ঘোষ,মুকুল রায়,শুভেন্দু অধিকারীদের নেতৃত্বে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছে গেরুয়া শিবির।অন্যদিকে মমতার নেতৃত্বে তৃতীয়বার বাংলা দখলের জন্য মরিয়া তৃণমূলও।সঙ্গে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের মতো ভোট কুশলী। রাজনৈতিক সভা থেকে শুরু করে যোগদান,পাল্টা যোগদান সব মিলিয়ে দুই রাজনৈতিক দলের তরজা তে ক্রমশ চড়ছে রাজনীতির পারদ।এই আবহেতেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের তুলশীহাটা এবং কুশিদা তে তৃণমূলের ছাত্র এবং যুবরা পরিবারসহ যোগ দিল বিজেপিতে।যে যোগদান নিয়েও শুরু হয়ে গেছে বাকযুদ্ধ।ভুয়ো যোগদান বলে কটাক্ষ তৃণমূলের।
উল্লেখ্য,হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ১০০ জন যুব তৃণমূল কর্মী প্রদীপ্ত সাহার নেতৃত্বে আজ বিজেপিতে যোগদান করে। এমনটাই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।যোগদান কর্মসূচীগুলি হয় বিজেপির স্থানীয় কার্য্যালয়ে। উক্ত দুই যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু, বিজেপির মালদা জেলা সম্পাদক অন্যান্য ব্লক নেতৃত্ববৃন্দ।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাজ এবং বিজেপির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই যুবকেরা যোগদান করেছে বলে জানান বিজেপি নেতারা।
বিজেপিতে যোগদানকারী রকি দাস বলেন, ” আজ আমরা প্রায় শতাধিক যুবক স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিজেপিতে যোগদান করলাম।বিগত তিন বছর ধরে তৃণমূলে ছিলাম। কিন্তু দলটা দুর্নীতি,কাটমানিতে ভর্তি।”
এদিকে এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান।তিনি বলেন, ” বিজেপি এসব ভাওতাবাজি দিচ্ছে নিজেদের লোককে যোগদান করিয়ে।আর আমাদের সাংসদকে তো এলাকায় দেখা যায় না।উনি পরিযায়ী সাংসদ।আর উনাদের সভাতে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।মিথ্যাচার করে বিজেপি দেশটাকেই শেষ করে দিয়েছে।” দুই দলের নেতাদের এই বাকযুদ্ধে সরগরম মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের রাজনৈতিক মহল।