বাড়ির খুদে সদস্যদের মা ঠাকুমার সঙ্গে ভোটের সফরসঙ্গী হওয়ার অভ্যাস চিরাচরিত। তবে আনন্দ বলতে, রংবে রঙের পতাকা, দলীয় টেন্ট থেকে, কিছু টিফিন সবশেষে ছোট্ট আঙ্গুলে কালো কালি। তবে এবছর কোভিড পরিস্থিতির জন্য থার্মাল স্ক্রীনিং, মাস্ক, সেলোভিন গ্লাভস এবং স্যানিটাইজার বাড়তি পাওনা। এত কিছুর মধ্যে প্রধান আকর্ষণ , সুসজ্জিত বেলুনের গেট এবং স্বভাবসিদ্ধ ভাবে শিশুদের সাথে গোপাল ভাঁড়ের একান্ত সাক্ষাৎ । শুধু খুদরা না কেনো? হোটেল লাইনে দাঁড়িয়ে গোপাল ভাঁড়ের অঙ্গভঙ্গিমা দেখতে দেখতে বয়সের ভোটাররাই কখন ইভিএম এর দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে তা সে নিজেও জানে না !হ্যাঁ এরকম একটি ভোট কেন্দ্র দেখা গেল নদীয়ার শান্তিপুর কলেজ। যেখানে ফাস্ট পোলিং অফিসার সেকেন্ড পোলিং অফিসার প্রিসাইডিং অফিসার, ভেতরে এবং বাইরে নিরাপত্তাকর্মী প্রত্যেকেই মহিলা ! নির্বাচন কমিশনের মডেল ভোট কেন্দ্র হিসাবে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণভাবে মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত ভোটকেন্দ্রে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে শান্তিপুর ব্লকের বাবলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নিকুঞ্জনগর নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ও মডেল ভোট কেন্দ্র হিসেবে সমস্ত বাড়তি ব্যবস্থা ছিলো। এটা মহিলা পরিচালিত নয়। হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক স্যানিটাইজারের ব্যবহার দেখা গেছে প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রেই ।