নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আজ নদীয়ার আটটি বিধানসভার ভোট।ভোটগ্রহণপর্বকে শান্তিতে মেটাতে প্রতিটি বুথে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওয়েব কাস্টিং ,মাইক্রো অবজারভার, সিসিটিভি, ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে প্রতিটি বুথে থাকছে তীক্ষ্ণ নজরদারি। জেলা নির্বাচন আধিকারিক পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন,’ সব দিক মাথায় রেখে সমস্তরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েই ভোটগ্রহণ পর্বের আয়োজন করা হয়েছে।’শীতলকুচির ঘটনার কথা মাথায় রেখে জেলার ৫০ শতাংশের বেশি বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জেলা নির্বাচন আধিকারিক জানিয়েছেন,’ এছাড়াও বেশ কয়েকটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে থাকছে মাইক্রো অবজারভার, সিসিটিভি, ভিডিও ক্যামেরা।প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে থাকছে অন্তত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৪জন জওয়ান।’জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে একাধিক কড়া পদক্ষেপ।৫০ শতাংশের বেশি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা, মাইক্রো অবজারভার, সিসিটিভি, ভিডিওগ্রাফার ব্যবস্থার ওপরে নজরদারি রাখা হবে আর টি ও অফিস ও জেলা সদর অফিস থেকে।আটটি বিধানসভার জন্য মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৯০৪ টি।আগে যে ক’টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ওয়েব কাস্টিং মাইক্রো অবজারভার, সিসিটিভি, ভিডিও ক্যামেরা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সম্ভবত শীতলকুচি ঘটনার পর তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।এবিষয়ে জেলা নির্বাচন আধিকারিক জানিয়েছেন,’ এই দফার ভোটে ১ হাজার ৫৫০ টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বা বুথে থাকছে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা,৪৪৬টি বুথে থাকছেন মাইক্রো অবজারভার,৫৪০ টি বুথে থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা,৩৭০ টি বুথে রাখা হচ্ছে ভিডিও ক্যামেরা।অর্থাৎ প্রত্যেকটি বুথে কোন না কোনভাবে নজরদারি রাখা হচ্ছে।বুথের চারদিকে সব ব্যবস্থা ঠিক রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।ভোটকর্মীদের সুবিধার্থে নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা।বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।ওই এলাকার মধ্যে কেউ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না।ওই এলাকার মধ্যে থাকবে না কোন রাজনৈতিক দলের পোস্টার, পতাকা বা দেওয়াল লিখন।বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কোন বাড়িতে কোন অবাঞ্চিত ব্যক্তি থাকতে পারবেন না।কোন অবাঞ্ছিত জিনিস রাখা যাবে না ।প্রতিটি বুথে অন্তত ৪জন করে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান থাকবেন।দুটি থেকে চারটি বুথে থাকবেন ৮ জন জওয়ান, পাঁচটি থেকে আটটি বুথ পর্যন্ত থাকবেন ১২ জন জওয়ান।জেলায় একটি জায়গায় রয়েছে ১১ টি বুথ।সেখানে থাকবেন ১৬ জন জওয়ান।কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার জন্য ১১ কোম্পানি সহ মোট আটটি বিধানসভার জন্য থাকছে ১৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং প্রায় 5 হাজারের মতো রাজ্য পুলিশ।’আটটি বিধানসভার মোট ২০ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৫৬ জন ভোটার রয়েছেন।তার মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১০ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৭৩ জন আর পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৩ জন। অন্যান্য ভোটার রয়েছেন ৫০ জন।।মোট মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৬২৯ টি।তার মধ্যে ১৫ টি মডেল বুথ থাকছে।হুইল চেয়ার নিয়ে ভোট দিতে যাওয়া ভোটারদের জন্য থাকছে ১৩৬ টি বুথ।করোনা আবহের মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া চালানোর জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।জেলা নির্বাচন আধিকারিক পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন,’করোনা বিধি মেনে বিস্তারিত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।প্রতিটি বুথেই ভোটারদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য থাকছে থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা।প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তিনবার করে স্যানিটাইজ করা হবে।কারও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকলে তিনি বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারবেন।তাকে দিয়ে দেওয়া হবে টোকেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আসবেন।পি পি ই কিট পড়ে ভোটকর্মীরা ভোট নেবেন।প্রত্যেক ভোটারকে হাতে গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হবে।মাস্ক বাধ্যতামূলক ।সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার জন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গোলাকার মার্কিং করা থাকবে।’