বেশ কিছুদিন আগে শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। তবে তার সাথে কোন পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের যোগদান দেখতে পাওয়া যায়নি। শান্তিপুরে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন অজয় দে। কিন্তু একসময় অরিন্দম ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন সদস্যদের নিয়েই চলার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা নেতৃত্ব। এতে উভয় সংকট! ছটি পঞ্চায়েত বিশিষ্ট শান্তিপুর ব্লক কার্যত ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হবে। তাই হয়তো সকলকে নিয়েছে চলার বার্তা। কিন্তু কিছুদিন আগে,বেলঘড়িয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিপ্লব প্রামানিক বেশকিছু তৃণমূল কর্মকর্তাদের নিয়ে যোগদান করলেন বিজেপিতে। আজ বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুজয় সরকার শান্তিপুর বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হাত থেকে পতাকা নিয়ে যোগদান করেন বিজেপিতে। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, ওই অঞ্চলের প্রাক্তন সভাপতি সাধন ঘোষ, প্রধান মমতা ধারা, অপর এক সদস্য কৃষ্ণ মন্ডলের যোগদান প্রায় স্থির হয়ে গিয়েছিলো, তবে বিজেপির নিচু তলার কর্মীদের আলোচনার জন্য কিছুটা সময় নেওয়া হয়েছে, এরইমধ্যে আজ হরিপুর অঞ্চল এর একটি গ্রামে কর্মীসভায় মাঝে যোগদান করলেন সুজয় সরকার। বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার দাবি করেন, আগামীতে যোগদানের লম্বা লাইন পড়বে, তবে তা বেছে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নিমাই বিশ্বাস, অবশ্য শুধুমাত্র কানে শুনেছেন, জানালেন ওই অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সুধা ঘোষের কাছ থেকে জানতে হবে বিষয়টি। ঘোষ জানান আমরা তৃণমূলে আছি তৃণমূলে থাকব, প্রধান মমতা ধাড়া জানান এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা আমি একটি আত্মীয়র বাড়িতে এসেছি দূরে, উপপ্রধান যোগদান করেছে সে বিষয়টিও আমি জানিনা। আর মাত্র কয়েকটা দিন! বাগআঁচড়া তড়িৎ সংঘের মাঠে আসতে চলেছে অমিত শাহ। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা সেই মঞ্চে আর কাকে কাকে দেখা যায়!