মুসলমানদের বিরুদ্ধে কথা বললে হিন্দুভোট পাওয়া যায় মন্তব্য অধীরের

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ-   আজ বহরমপুর গান্ধী মূর্তি পাদদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষের বিভিন্ন অধিকারের দাবিতে একটি সভার আয়োজন করে জেলা কংগ্রেস মাইনোরিটি সেল এর পক্ষ থেকে ধরনা ও ডেপুটেশন দেওয়া হয়। জেলার সমস্ত পরিযায়ী  শ্রমিক দের প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা অন্তর্ভুক্তকরণ এবং কালা কৃষি বিল প্রত্যাহারসহ তেরো দফা দাবি নিয়ে আজকের এই ডেপুটেশনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানবক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রে্র বিরোধী দলনেতা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী । তিনি বলেন, বাজারে সংখ্যালঘু মানে লোকে মুসলমান ভাবে আদতে তা নয়। ৬ ধরনের মানুষ সংখ্যালঘু মধ্যে পড়ে, খ্রিস্টা্‌ জৈন, পারসিক এদের মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি । ২০১১ সালে জনগণনা ১৪ শতাংশ মুসলমান ভারতবর্ষে বাস করে তেমনি বাংলাদেশে যেসব হিন্দু বাস করে তারা সংখ্যালঘু কারণ সেখানে তাদের জনসংখ্যা কম। মুসলমানদের বিরুদ্ধে বেশি কথা বললে হিন্দুদের বেশি ভোট পাওয়া যাবে এটা রাজনৈতিক মহলের ধারণা । কংগ্রেস এখানে কারোর সঙ্গে মোকাবেলা করার জন্য সভা করছে না । কংগ্রেস একটি বড় পরিবার তাই সংখ্যালঘু সেল তারই একটি অঙ্গ ।

প্রণব বাবুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন , আমাদের এই মুর্শিদাবাদ জেলা কে আদর্শ জেলা বললে ভুল হবে না কারণ যে জেলায় ৭০ শতাংশ মুসলমান বাস করে, সেই জঙ্গিপুর থেকেই ব্রাহ্মণের ছেলে প্রণব মুখোপাধ্যায় লোকসভা ভোটে জয়লাভ করে জনপ্রতিনিধি হয়েছিলেন । আজকে এই মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষের জন্যই তিনি রাষ্ট্রপতি হয়েছেন , এইরকম জেলা ভারতবর্ষে কোন জায়গায় নাই। এই জেলায় মানুষের হাতে টাকা না থাকতে পারে, তবে মেহমানি করতে পিছপা হয় না এই জেলার মানুষ। মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেনা এটা প্রমাণ করে দিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, ভারতবর্ষের থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা স্বাস্থ্য বিভিন্ন দিক থেকে , কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে।দেশ রক্ষায় সবাই লড়াই করেছেন আবদুল গফফর খান স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ তার স্ত্রীর কবর দেয়ার পর , স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের সঙ্গে আব্দুর রহমান খান স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।

মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  প্রসঙ্গে তিনি বলেন , মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ করে ভাতা চালু করলেন ?প্রথমে মুসলিমের জন্য তারপর হিন্দুদের জন্য। কেউ তো আপনাকে চালু করতে বলেনি তাহলে আপনি করলেন কেন?
মঞ্চ থেকে এভাবেই তৃণমূল কে আক্রমণ করেন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আজকের সভায়  উপস্থিত জেলার মাইনরটি সেলের নেতৃত্ব।